অবশেষে হার মানতেই হলো ইমরান খানকে। অনাস্থা ভোটের ফল অনুয়ায়ী, তিনি আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নন।
সারাদিন নাটকীয়তার পর বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টার দিকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ওই ভোটাভুটি হয়।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডন এই খবর নিশ্চিত করেছে।
পত্রিকাটি জানিয়েছে, অনাস্থা ভোটে অংশ নেয়া জাতীয় পরিষদ সদস্যদের সবাই ইমরানের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার পরপরই ইমরান ঘনিষ্ঠ পাকিস্তানি মন্ত্রী ফাওয়াদ হোসাইন এক টুইটে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের জন্য এটি একটি দুঃখের দিন। লুটেরাদের কাছে আবার ফিরে গেল ক্ষমতা।’
পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য নাম মনোনীত করতে রোববার দুপুরেই জাতীয় পরিষদে অধিবেশন আহ্বান করার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন শাহবাজ শরীফ। সোমবারই নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে পারে পাকিস্তান।
অনাস্থা ভোট নিয়ে চরম নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে। দেশটির জাতীয় পরিষদে এই ভোট অনুষ্ঠিত হতে সকাল থেকে রাত গড়িয়ে যায়। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শনিবার পাকিস্তানের সময় রাত ১২টার আগেই ভোট অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা ছিল। তা না হলে দেশটির দুই স্পিকারসহ প্রধানমন্ত্রীরও জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
মজার ব্যাপার হলো- এসব নাটকীয় মুহূর্ত চলার সময় পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের বাইরে একটি প্রিজনভ্যানও রাখা ছিল।
কিন্তু রাত ১২টা বাজার আগেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে চূড়ান্ত নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি।
বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ১২টা ৫০ মিনিটে এই খবর জানায় জিও নিউজ।
তবে, স্পিকারদের পদত্যাগের পরপরই অনাস্থা ভোট শুরু হয় বলে জানায় ডন। আর দুই স্পিকার পদত্যাগ করায় অনাস্থা ভোট প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকেন সাবেক স্পিকার আয়াজ সাদিক।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীকে সরাতে বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারবেন না দাবি করে পাক জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার নিজের অবস্থান থেকে পদত্যাগ করেন।