জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট থেকে গাইবান্ধার বালাসী ঘাট পর্যন্ত পরীক্ষামূলক লঞ্চ সার্ভিস চালু হয়েছে।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে লঞ্চ সার্ভিস ও নৌ টার্মিনালের উদ্বোধন করেন। ২০০ যাত্রী ধারণক্ষমতার এম. ভি মহব্বত এক্সপ্রেস লঞ্চটি পরীক্ষামূলকভাবে শনিবার দুপুরে চলাচল শুরু করে।
বিআইডব্লিউটি এর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোলাইমান হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার শেফা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দেওয়ানগঞ্জ সার্কেল) রাকিবুল হাসান রাসেল, দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র নুরে আলম সিদ্দিকী জুয়েলসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৩৮ সালে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ থেকে গাইবান্ধার জেলার ফুলছড়ি পর্যন্ত নৌরুট চালু করে ব্রিটিশ সরকার। পরে ১৯৯০ সালে গাইবান্ধার বালাসীতে ঘাট স্থানান্তর করা হয়। এরপর যমুনা নদীতে নাব্যতা কমে গেলে বাহাদুরাবাদ-বালাসী রুটে ফেরি চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়।
যমুনা বহুমুখী সেতু চালুর পর নানা কারনে ২০০০ সালে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষনা করে কর্তৃপক্ষ।
এই রুটে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাত্রী পারাপার অব্যাহত ছিল। ২২ বছর পর ফের নৌ রুটটি সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বাহাদুরাবাদ ঘাট এলাকার বাসিন্দা আহসান হাবিব বলেন, ‘এই রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালু হলে আমাদের খরচ অনেকটা কমবে। আগে ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে বালাসি ঘাট যেতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা লাগতো। যারা নিয়মিত যাতায়াত করি তাদের জন্য এটি সুখবর।’
স্থানীয় আজিম উদ্দিন বলেন, ‘ইঞ্জিনের নৌকায় বালাসি ঘাট যাইতে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। এহন লঞ্চে যাইতে খুবই কম সময় লাগবো।’
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোলাইমান হোসেন বলেন, ‘এই রুটে লঞ্চ চালু হলে ঘাট এলাকায় প্রান চাঞ্চল্য ফিরে আসবে, ব্যবসার প্রসার হবে। মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে।’
অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী নৌরুটটি ধরে রাখার চেষ্টা করছে সরকার। নাব্যতা সংকটের কারনে সার্বক্ষনিক নদী খননের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নদীর নাব্যতা ফিরে আসলে নৌ চলাচলে কোন বাধা থাকবে না।
‘ইতিমধ্যে সাত হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করে ফেলেছি, আমাদের লক্ষ্য দশ হাজার কিলোমিটার নৌপথ। সরকার দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ে যে টার্মিনাল করেছে তা নৌ রুট ধরে রাখার জন্যই।’