ইফতার ও মাগরিবের নামাজের সময় দেশের প্রবেশদ্বার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। এতে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীরা।
শনিবার সন্ধ্যায় ইফতারের সময় প্রায় আধাঘণ্টা বিমানবন্দরের একটি টার্মিনালের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। এ সময় বেশ কয়েকজন যাত্রীকে ইমিগ্রেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
যাত্রীদের অনেকেই অভিযোগ করেন, তারা প্রায় আধাঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। এতে কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের চাপ তৈরি হয়। পরে ইফতার শেষে একে একে কর্মকর্তারা ইমিগ্রেশন কাউন্টারে ফিরে আসেন। এতে ইমিগ্রেশন পার হতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক সময় লাগার অভিযোগ করেন যাত্রীরা।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ইমিগ্রশন পুলিশের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রমজান মাসে ইফতারের সময় কোনো ফ্লাইট থাকলে সেটাও কিছুটা ডিলে করা হয় যেন সবাই ইফতার সারতে পারেন। আর ইফতারের সময় ফ্লাইটগুলোর ইমিগ্রেশন আগেই হয়ে যায়৷ তা ছাড়া তখন অধিকাংশ যাত্রীরাও ইফতার করেন। তাই সে সময় এই চাপ থাকার কথা না।
‘কাউন্টার বন্ধ থাকার যে কথা বলা হচ্ছে, সেটা শুধু একটি টার্মিনালের কাউন্টার, আমাদের আরও দুটি টার্মিনাল আছে, নিয়ম মেনে যেগুলোতে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চলছিল। তবু যাত্রীরা যেহেতু অভিযোগ করেছেন আমার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’
অবশ্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবিষ্যতে যেন এমনটা না ঘটে এজন্য ইমিগ্রেশন বিভাগের সঙ্গে তারা আলোচনা করেছেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দেরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি দেখছি। রোববার থেকে এ সময়ে লিমিটেড স্কেলে ইমিগ্রেশন চালু রাখার বিষয়টি রাখার বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
‘আমি এরই মধ্যে ইমিগ্রেশনের কয়েকজনের সাথে কথা বলেছি। আমরা অ্যাকশন নিচ্ছি।’