সাউথ আফ্রিকার করা পাহাড়সম ৪৫৩ রানের জবাবে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের বোলিং তোপে দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩৯ রান।
ক্রিজে ৩০ রান করে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তাকে ৮ রানে সঙ্গ দিচ্ছেন ইয়াসির আলি রাব্বি।
দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে আরও ৩১৪ রানে।
সাউথ আফ্রিকার করা রান পাহাড় টপকাতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৩ রানেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়।
শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ তামিম-শান্ত জুটিতে। কিন্তু অর্ধশতক থেকে তিন রান দূরে থাকতে ফেরেন তামিম।
এমন কী এক ওভারের ব্যবধানে শান্তও মালডারের এলবিডব্লিউয়ের শিকার হলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
ব্যর্থ হন অধিনায়ক মুমিনুল হকও। ৬ রান করে ফিরে যেতে হয় তাকেও। ব্যর্থতার খাতায় নাম লেখান লিটন দাস, ১১ রানে ফেরেন তিনি।
ক্রিজ আঁকড়ে থেকে মুশফিক ও রাব্বি শেষ করেছেন দ্বিতীয় দিন।
৫ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে প্রথম ইনিংসে অল আউট হওয়ার আগে ৪৫৩ রানের পুঁজি পায় প্রোটিয়ারা।
দিনের সপ্তম ওভারেই প্রোটিয়া শিবিরে দিনের প্রথম আঘাতটি হানেন খালেদ আহমেদ। কাইল ভেরেইনিকে ফেরান ডানহাতি এই পেইসার। দুর্দান্ত ইন সুইঙ্গার সরাসরি আঘাত হানে ভেরেইনির স্টাম্পে।
আর তাতেই ৩০০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। মাঠ ছাড়ার আগে ভেরেইনির ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।
এরপর মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। ৩৩ রান করা মালডারকে সরসারি বোল্ড করেন বাহাতি এই স্পিনার।
এরপর সাইমন হার্মারকে সঙ্গে নিয়ে কেশভ মহারাজ বড় সংগ্রহের দিকে এগোতে থাকে সাউথ আফ্রিকা। দলীয় স্কোর ৪০০ ছাড়ানোর পাশাপাশি মহারাজের ব্যাট ছুটতে থাকে সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু সেটি হতে দেননি তাইজুল।
ব্যক্তিগত ৮৪ রানে তাইজুলের বলে স্টাম্প হারান মহারাজ। আর এর মধ্য দিয়ে পাঁচ উইকেটের কোটা পূর্ণ হয় বাঁহাতি এই স্পিনারের।
ক্যারিয়ারে দশমবারের মতো পাঁচ উইকেট শিকার করলেন তাইজুল।
টাইগারদের হয়ে ছয় উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। তিনটি উইকেট নেন খালেদ আহমেদ ও একটি উইকেট যায় মেহেদী হাসান মিরাজের ঝুলিতে।