তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি জাতীয় পার্টির (জাপা) আস্থা নেই বলে জানিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, ‘যতবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়েছে, ততবারই জাতীয় পার্টির প্রতি অবিচার হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের নিরপেক্ষ ও সাহসী হতে হবে।’
শনিবার তার বনানীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় ছাত্রসমাজ আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি এম কাদের এসব কথা বলেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি পেশিশক্তি ও টাকার প্রভাবে নির্বাচনব্যবস্থা নষ্ট করে দিয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার কারণে রাজনীতিতে সৎ ও নীতিবান মানুষ ভালো করছে না।’
জি এম কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো নেই। অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দুঃখের বিষয় হচ্ছে সরকার এই বাস্তবতা অস্বীকার করছে। দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে, পাশাপাশি মানুষের আয় কমে গেছে। ফলে ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে সাধারণ মানুষের। এমন বাস্তবতা মোকাবিলায় সব রাজনৈতিক দলের সহায়তায় করণীয় ঠিক করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এ জন্য সরকারকেই উদ্যোগী হয়ে ডাকতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। আমদানি ব্যয় বেড়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলার, যা কখনই ৬০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ছিল না। তাই ৪০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় বাড়ার কারণে আমাদের রিজার্ভ কমতে থাকবে। এভাবে রিজার্ভ কমতে থাকলে শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈদেশিক ঋণের ওপর ভিত্তি করে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। সবগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা জরুরি ছিল বলে মনে হয় না। ঋণের বোঝার কারণেও আমাদের রিজার্ভ কমে যেতে পারে।
জাতীয় ছাত্রসমাজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ ইমরান রিপনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জাপার মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াসহ অনেকে।