বরিশালে ৪০০ টাকা বকেয়া হোটেল ভাড়ার জন্য মাছ ব্যবসায়ী রুবেল খন্দকারকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন স্বাধীন পার্কের ম্যানেজার আনিচুর রহমান।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে আনিচুর রহমান জানান, লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাতের পর শ্বাসরোধে রুবেলকে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার সকালে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
শুক্রবার সকালে বরিশাল মহানগর হাকিম আল ফয়সালের আদালতে আনিচুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আনিচুর রহমানের বাড়ি বরিশাল সদরের চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের ভেদুরিয়া গ্রামে। তিনি নগরীর রূপাতলী এলাকার হোটেল স্বাধীন পার্কের ম্যানেজার।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক বিজয় মণ্ডল বলেন, ‘মাছ ব্যবসার কারণে প্রায়ই ৩০ বছর বয়সী রুবেল খন্দকার হোটেল স্বাধীন পার্কে অবস্থান করতেন। ঘটনার দিন মঙ্গলবার দুপুরে রুবেল ওই হেটেলের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ ভাড়া নেন।
‘ম্যানেজার আনিচুর হোটেলের রুম ভাড়ার ৪০০ টাকা চাইলে রুবেল পরে দেবেন বলে জানান। এদিন বিকেল ৪টার দিকে রুমে গিয়ে তার কাছে ফের ভাড়ার টাকা চাইলে হোটেল ম্যানেজারের সঙ্গে রুবেলের বাগবিতণ্ডা হয়।’
আনিচুরের স্বীকারোক্তির বরাতে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে রুবেলের মাথায় আঘাত করেন আনিচুর। এতে রুবেল অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। মরদেহ হোটেলের রুমে রেখে ওই দিন সন্ধ্যায় ব্যবসায়ীদের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।’
বিজয় মণ্ডল আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে মরদেহ উদ্ধারে হোটেলের ওই রুমে গেলে রুবেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখি। তখন তার ডান কান থেকে রক্ত ঝরছিল। ডান কানের পাশে মাথায় হালকা আঘাত ও গলায় দুটি দাগ দেখা গেছে।
‘বিষয়টি অস্বাভাবিক হিসেবে চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু করলে দুই দিনের মধ্যে ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসে।’
বৃহস্পতিবার বিকালে রূপাতলী থেকে অভিযুক্ত আনিচুর রহমানকে আটক করা হয়।
রুবেলের স্ত্রীর করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বরিশাল মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করলে আনিচুর হত্যার দায় স্বীকার করেন। জবানবন্দি নেয়া শেষে বিচারক আল ফয়সাল তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, ঘটনার দুই দিনের মধ্যে খুনের রহস্য উন্মোচন হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত থাকার বিষয় উঠে আসেনি।