সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে নিজ কক্ষে বৃদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের ছনকা গ্রামে শনিবার ভোরে মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত নারীর নাম আম্বিয়া খাতুন। তার বয়স ৭০ বছর। তিনি ছনকা গ্রামের বাসিন্দা।
আম্বিয়া খাতুনের ছোট ছেলে শেখ শরিফুজ্জামান শিমুল বলেন, ‘মা রাতে একা দোতলায় ঘুমাতেন। রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির দোতলায় নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান। আমি, স্ত্রী ও মেয়ে নিচতলায় থাকি। সেহরি খাওয়ার সময় মাকে ডাকতে গিয়ে দেখি মা মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খাটের ওপর রক্তের দাগ লেগে আছে।’
নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আর রক্ত কেন? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
স্থানীয়রা জানান, আম্বিয়া খাতুনের স্বামী সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর পেনশনের টাকা আর জমিজমার একটি অংশ স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনের নামে ছিল। মায়ের ওই সম্পদ নিয়ে বড় ছেলে আইরিছুজ্জামান, ছোট ছেলে শরিফুজ্জামান এবং চার মেয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। নিহত আম্বিয়া খাতুন গত এক সপ্তাহ মেয়ের বাড়িতে ছিলেন। শুক্রবার সকালে তিনি মেয়ের বাড়ি থেকে ছোট ছেলে শরিফুজ্জামানের বাড়িতে আসেন। শনিবার ভোরে আম্বিয়া খাতুনের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। বৃদ্ধার শরীরে ও খাটের ওপর রক্তের দাগ লেগে আছে।
‘ওই বাড়িতে ছোট ছেলে, তার স্ত্রী ও মেয়ে নিচতলায় ছিলেন। দ্বিতীয় তলায় ছাদঘরে ছিলেন বৃদ্ধা মা। ছেলের দাবি, মা বয়স্ক মানুষ, মাথা ঘুরে পড়ে খাটের কোণে লেগে মারা গেছেন। এ ঘটনায় পরিবারের অন্য কেউ এখনও কোনো অভিযোগ দেননি। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।’