বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রীর গালে ছাত্রকে দিয়ে শিক্ষকের চড়

  •    
  • ৯ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:১৩

সাদেকুর রহমান বলেন, ‘ক্লাসে একটি মান নিয়ে আলোচনা করছিলাম। ওই ছাত্রী আগেও ভুল করেছিল। তার ভুল সংশোধন করে দিয়েছিলাম। এরপরও না পারায় তাকে নিজের গালে চড় মারতে বলেছিলাম। বারবার ভুল হওয়ায় ভেবেছিলাম, এটা করলে মনে থাকবে। আমার ইনটেনশন খারাপ ছিল না। ক্লাসে আমি মারার পক্ষে নই।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পড়া না পারায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রকে দিয়ে সহপাঠী ছাত্রীকে চড় দেয়ার অভিযোগ তদন্তে কাজ করছে কমিটি।

ডক্টর রওশন আলম কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি দেলোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে মঙ্গলবার পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়।

এর আগের দিন কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সাদেকুর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রকে দিয়ে ছাত্রীকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে।

শিক্ষার্থীরা জানান, ৪ এপ্রিল সকালে দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাস নিতে যান সাদেকুর রহমান। আলোচনা শেষে তিনি ওই ছাত্রীকে পড়ানো বিষয় থেকে প্রশ্ন করেন। ছাত্রীটি ভুল উত্তর দেয়ায় তাকে নিজের গালে নিজে চড় মারতে বলেন। তিনবার তাকে এ কথা বলার পর পাশের ছাত্রীকে চড় দিতে বলেন।

ওই ছাত্রীও তার সহপাঠীকে চড় মারতে রাজি না হলে এক ছাত্রকে দিয়ে এই কাজ করান।

মেয়েটির বাবা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার মেয়ে বিষয়টা জানানোর পরপরই আমরা কলেজে গিয়েছিলাম। কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে।’

সাদেকুর রহমান বলেন, ‘ছেলেটা নিজ থেকেই অতি উৎসাহী হয়ে ওই ছাত্রীর গালে আস্তে করে হাত দিয়েছে। ক্লাসে একটি মান নিয়ে আলোচনা করছিলাম। ওই ছাত্রী আগেও ভুল করেছিল। তার ভুল সংশোধন করে দিয়েছিলাম। এরপরও না পারায় তাকে নিজের গালে চড় মারতে বলেছিলাম।

‘বারবার ভুল হওয়ায় ভেবেছিলাম, এটা করলে মনে থাকবে। আমার ইনটেনশন খারাপ ছিল না। ক্লাসে আমি মারার পক্ষে নই।’

ছাত্রের বাবার দাবি শিক্ষকের কথাতেই তার ছেলে চড় মেরেছে।

তিনি বলেন, ‘ওই ছাত্রী পড়া পারে নাই। এ জন্য শিক্ষক তার গালে চড় দিতে বলেছেন। আমার ছেলে ওর গালে আস্তে করে হাত দিয়েছে।’

তদন্ত কমিটির প্রধান দেলোয়ার হোসেন জানান, ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।

এ বিভাগের আরো খবর