অন্য কারও কথায় নয়, বরং দেশের মানুষ যখন বলবে ভোটের ওপর তাদের আস্থা ফিরে এসেছে, তখনই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে নবনির্বাচিত সিলেট বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা জানান।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জনগণের দাবি হিসেবে এই সরকারের উচিত দ্রুত পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থায় একটা নির্বাচন দেয়া। তাহলে দেশের সব জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচনের প্রতি মানুষের আস্থা আসবে।
‘বিএনপিও জনগণের দল হিসেবে সেই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ নেবে। এটার জন্য আমার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকায় গিয়ে তাদের অনুরোধ করেন; তারা যেন বিএনপিকে বলে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য। এটা তো অন্য কারও বলার বিষয় না, আমরা মনে করি এই দেশের মানুষ যেদিন বলবে তারা ভোট দিতে পারবে, তাদের আস্থা ফিরে এসেছে, সেই দিন বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। ’
সম্প্রতি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তিতে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন। ওই বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি যাতে নির্বাচনে অংশ নেয়, সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছেন।
ওই প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা লজ্জিত, বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকায় গিয়ে ধরনা দিচ্ছেন, লবিং করছেন। কিন্তু কয়েক দিন আগেও এই আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বিএনপি নাকি বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। আজকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রমাণিত ধরনা কারা দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যখন মনে করছে, সবদিকে তারা ব্যর্থ এবং পরাজিত তখন বিদেশির কাছে সহযোগিতা চাচ্ছে। এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, যেমন আগামীতে নির্বাচন। আমরা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। এটা তো বেশি কিছু কথা নয়।’
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকে যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে, তারা পরপর তিনটি জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট চুরি করেছে। তাতে জনগণ ভোটের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আমরা জনগণের দল বিএনপি করি, আমাদের আস্থা নেই। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না।’
নির্দলীয় সরকারের দাবি তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। অতএব এর সমাধান আমেরিকায় গিয়ে কথা বলা নয়। আমেরিকার কাছে ধরনা দেয়া নয়। এর সমাধান হচ্ছে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে।’