চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে বারবার পাথর নিক্ষেপ বন্ধে অভিযানে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়া শনিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের ট্রেনে অভিযান চালানো হয়।
পুলিশের সহযোগিতায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুজন সহকারী প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম ও আহসানুল কবির পলাশ। এ সময় তারা বহিরাগতদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নগরীর ঝাউতলা, ক্যান্টনমেন্ট ও ষোলোশহর স্টেশনের আশপাশের এলাকায় প্রায়ই পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। স্টেশনের পাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠা বস্তি থেকে টোকাইরা পাথর ছোড়ে। রাত ও বিকেলের ট্রেনেই মূলত পাথর ছোড়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের জোবায়ের হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শাটলে পাথর ছোড়ার অন্যতম কারণ ট্রেনের ছাদের টোকাইরা। তারা পাথর নিয়ে ট্রেনে ওঠে এবং নিচে থাকা টোকাই ও অন্যদের দিকে পাথর ছোড়ে। নিচ থেকেও পাল্টা পাথর ছোড়া হয়। এতে শিক্ষার্থীরা আহত হন।’
ট্রেনে ছোড়া পাথরে সর্বশেষ আহতের ঘটনা ঘটে গত বৃহস্পতিবার রাতে। পাথরের আঘাতে মাথা ফেটে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর।
শাটল ট্রেনে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেয় শাখা ছাত্রলীগ।
সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টানা কয়েকদিন আমরা সবগুলো ট্রেনে অভিযান চালাব। বহিরাগত কাউকে ট্রেনে উঠতে দেয়া হবে না। আমরা প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা শিফট ভাগ করে নিয়েছি।
‘আমরা বিষয়টি বায়েজিদ থানাকে জানিয়েছি। তারা আমাদের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে। এর বাইরে ঝাউতলাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও থাকবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘শাটলে বহিরাগত সমস্যা, পাথর নিক্ষেপ, অনিরাপদ অবস্থা এই সব দিক উল্লেখ করে আমরা প্রক্টরিয়াল টিমকে জানিয়েছিলাম। আমরা বলেছি, নির্দিষ্ট জায়গাগুলোতে প্রায় সময় পাথর নিক্ষেপ ও শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
‘যেহেতু শিক্ষার্থীরা শাটলের জন্য পরিবহন ফি দেয়, এই বিষয়টা তাদের কঠোরভাবে দেখতে হবে। কর্তৃপক্ষ আজ থেকে পদক্ষেপ নিয়েছে।’