কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২৩ বছর বয়সী স্ত্রী সানজিদা বেগমকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকে ঘটনাটি ঘটে বলে জানান ১৬ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম।
৩২ বছর বয়সী নিহত ছৈয়দুর রহমান ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের হামিদুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ সুপার জানান, ছৈয়দুর রহমানের সঙ্গে তার স্ত্রী সানজিদা বেগমের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো।
শুক্রবার বিকালে ছৈয়দুর নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন সানজিদা। এ সময় ছৈয়দুরের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সানজিদা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলে।
পরে আহত ছৈয়দুরকে উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় স্থানীয়রা সানজিদাকে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। পরে হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
তবে কী নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ, সে সম্পর্কে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে বলেও জানান এপিবিএন এর এ কর্মকর্তা।