কুমিল্লায় র্যাবের সঙ্গে মাদক কারবারিদের গোলাগুলি হয়েছে। এ ঘটনায় এক র্যাব সদস্যসহ চার মাদক কারবারি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন জোড়কানন ইউনিয়নের লালবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় একটি বিদেশি পিস্তলসহ প্রায় দেড় মণ গাঁজা জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা র্যাব ১১-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন। তিনি জানান, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন জোড়কানন ইউনিয়নের লালবাগ এলাকা দিয়ে মাদকের বড় চালান পার হচ্ছে এমন খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ সময় তারা দেখেন ২০-২৫ জন মাদক কারবারির একটি দল মাদকের বস্তা নিয়ে মাঠ দিয়ে যাচ্ছিলেন।
কর্তব্যরত টহল কমান্ডার তাদের থামতে বলেন এবং নিজেদের র্যাব পরিচয় দেন। পরে কিছু মাদক কারবারি দৌঁড়ে পালিয়ে যান। তবে কয়েকজন মাদক কারবারি হঠাৎ এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন।
মেজর সাকিব জানান, আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি করে। এতে এক র্যাব সদস্য ও তিনজন মাদক কারবারি গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধ র্যাব সদস্য করপোরাল মো. রুবেল গাজী। গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারিরা হলেন- সাইদুল ইসলাম, হযরত আলী এবং মশিউর রহমান। তাদের বয়স যথাক্রমে ২২, ২০ ও ২১।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গুলিবিদ্ধ র্যাব সদস্য ও মাদক কারবারিদের কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। র্যাব সদস্যের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা সিএমএইচে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে রয়েছেন।
এ ছাড়া তিনজন মাদক কারবারির মধ্যে একজনের গুলি শরীর স্পর্শ করে চলে গেলে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছাড়পত্র দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি র্যাব হেফাজতে রয়েছেন। বাকি দুজন গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মেজর সাকিব জানান, ঘটনাস্থলে আরও দুজন মাদক কারবারি সবুজ ইসলাম ও মো. শরীফ পালানোর সময় ৫৬ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিনএবং দুটি অ্যামোনিশন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, মাদক ও র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা হয়েছে।