বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধান শিক্ষিকার ভাইরাল টিকটক ভিডিও নিয়ে বিতর্ক

  •    
  • ৮ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:৪৮

শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দার মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার মতো অনেকেই টিকটক করে। তাদের টিকটক তো সামনে আসে না, তাহলে আমারটি কেন?’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল কুষ্টিয়ার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার একাধিক টিকটক ভিডিও নিয়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা।

এ ঘটনায় সচেতন মহল বলছে, শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের অনুসরণ করে তাই তাদের সতর্ক থাকা উচিত। অনেকেই আবার টিকটক করা ওই শিক্ষিকার ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে মত দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টিকটক ভাইরাল হওয়া ওই শিক্ষক হলেন দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দার। মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রধান শিক্ষক তিনি।

টিকটক ভিডিও-তে বিভিন্ন গানের তালে নানান অঙ্গভঙ্গি করে নাচতে দেখা যায় তাকে।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, ‘কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাকে ম্যাডামের টিকটক দেখিয়েছেন, এতে বিব্রত হয়েছি। শিক্ষক হিসেবে তার এ ধরনের নাচ ভালো লাগেনি।’

অপর এক শিক্ষক বলেন, ‘ম্যাডামকে বলেছি এসব ফেসবুকে না দিতে। কিন্তু উনি কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ করেই চলেছেন। শিক্ষার্থীদের সামনে সবাই লজ্জায় পড়ছি। তারা হাসাহাসি করছে।’

সচেতন নাগরিক কমিটির কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি রফিকুল আলম টুকু বলেন, ‘শিক্ষকতা আদর্শের পেশা। শিক্ষার্থী ও সমাজের মানুষ তাদের অনুসরণ করেন। মাধ্যমিক পযার্য়ের একজন প্রধান শিক্ষকের এমন ভিডিও সমাজের অবক্ষয় ছাড়া কিছুই না। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অনেক কিছুই করতে পারেন। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের সময় কী দিচ্ছেন শিক্ষক হিসেবে তার খেয়াল রাখা দরকার।’

তবে এ ঘটনায় অনেকেই আবার ভিন্নমত দিয়েছেন। সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রিজু বলেছেন, ‘ওই শিক্ষককে সংস্কৃতিমনা মনে হয়েছে, এখানে খারাপ কিছু তো দেখছি না। বিনোদনের জন্য তিনি টিকটক করতেই পারেন।’

মানুষ মানুষের জন্য সামাজিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মকুল আহমেদ বলেন, ‘একজনের ব্যক্তি স্বাধীনতা কতটুকু আগে সে বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। একজন শিক্ষিক টিকটক করেছেন সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। তিনি গাইতে বা নাচতেই পারেন।

‘পুলিশ, সাংবাদিক, চিকিৎসক যে কোনো পেশার মানুষেরাই নাচ, গান বা তার নিজের ভালো লাগার কাজ প্রকাশ করতে পারেন। তার দোষ কোথায়? তিনি কি শ্রেণিকক্ষে টিকটক করেছেন? শিক্ষার্থীদের নিয়ে টিকটক করেছেন? তার ব্যক্তিগত আইডি ব্যবহার করেছেন, এতে সমস্যা কোথায়?’

এ বিষয়ে শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দার মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার মতো অনেকেই টিকটক করে। তাদের টিকটক তো সামনে আসে না, তাহলে আমারটি কেন?’

তালবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডাম ফেসবুক আইডিতে টিকটক ভিডিও শেয়ার করে ভুল করেছেন। এ ঘটনায় আমি অনুতপ্ত। এমনটি আর হবে না।’

মিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। অভিযোগ পেলে দেখবো বিষয়টি কী?

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর