বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশের দেয়া ঘরে বিধবার হাসি

  •    
  • ৭ এপ্রিল, ২০২২ ২৩:৫০

পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাসস্থানের পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে স্থানীয়দেরকেও আহ্বান জানাচ্ছি।’

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের জগদানন্দ গ্রামের বিধবা কমলা খাতুন। খালপাড়ের ঝুপড়ি ছেড়ে এখন থাকবেন তিনি দুই কক্ষের বাড়িতে। সেখানে আছে বৈদ্যুতিক বাতি, ফ্যান, রান্নাঘর, বাথরুম। পানির জন্য আছে নিজস্ব নলকূপ।

পুলিশের মাধ্যমে নতুন এ ঠিকানা পেয়ে আবেগাপ্লুত কমলা খাতুন।

নিউজবাংলাকে এই বিধবা বলেন, ‘স্বামীর মৃত্যুর পর খুব কষ্টে ছিলাম। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করে চলছিলাম। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে থাকার জায়গা ছিল না। পুলিশ আমাদের ঘর দিয়ে চির ঋণী করে দিল। তাদের জন্য দোয়া করি।’

কমলা খাতুনের চার সন্তান। হাসিনা, তাসলিমা, ফজলু ও রাব্বিকে নিয়ে জীবন চালাতে দিশেহারা। সংসার চালান ভিক্ষা করে, মাথা গোঁজার ঠাই খালপাড়ের ঝুপড়ি ঘর।

অসহায় এ নারীর পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। উঠেছে নতুন ঘর, সেখানেই সন্তানদের নিয়ে থাকবেন কমলা।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা বাস্তবায়নে আইজিপি বিশেষ উদ্যোগ নেন। আমরা নোয়াখালীর ৯ থানায় ৯টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর করে দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী রোববার ভার্চুয়ালি এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।’

অসহায় এসব পরিবারের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বাসস্থানের পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে স্থানীয়দেরকেও আহ্বান জানাচ্ছি।’

কবিরহাট থানা পুলিশ রান্নঘর, বাথরুমসহ দুই কক্ষের যে বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে সেখানে দুটি ফ্যান ও দুটি লাইট লাগানো হয়েছে। পানির জন্য বসানো হয়েছে নলকূপ।

গৃহহীন কমলার স্বামী আবদুল খালেকের মৃত্যু হয় দেড় বছর আগে। এরপর থেকে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে চলে তার সংসার।

কমলার মেয়ে হাসিনা বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে খালপাড়ে ঝুপড়ি ঘরে থাকি। ঝড়, বৃষ্টি হলে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হতো। এখন পুলিশ আমাদের ঘর দিয়েছে। থাকার কষ্ট আর করতে হবে না।’

জগানন্দপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন মিয়া বলেন, ‘কমলাকে এখন যদি আয় রুজির ব্যবস্থা করে দেয়া হয়, তাহলে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারবে। আয়ের উৎস থাকলে সন্তানদের নিয়ে ভালোভাবেই জীবন কাটাতে পারবে।’

এ বিভাগের আরো খবর