বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নদীর বালু নেয়ার সময় ৯ ট্রাক্টর জব্দ

  •    
  • ৭ এপ্রিল, ২০২২ ২১:২১

এসিল্যান্ড সাথী দাস বলেন, ‘আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে ৯টি ট্রাক্টর জব্দ করে নিয়ে এসেছি। এসব ট্রাক্টরের মালিকদেরকে খোঁজা হচ্ছে।’

দিনাজপুর সদরের গর্ভেশ্বরী নদী খননের বালু অবৈধভাবে নিয়ে যাওয়ার সময় ৯টি ট্রাক্টর জব্দ করেছে প্রশাসন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ নেতারা এর সঙ্গে জড়িত।

গর্ভেশ্বরী নদীর গাবুড়া ব্রিজের পাশ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব ট্রাক্টর জব্দ করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাথী দাস। তার সঙ্গে ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা আব্দুর রউফ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ। চালকসহ ট্রাক্টরগুলো উপজেলা পরিষদ চত্বরে নেয়া হয়। অভিযানের সময় ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির হোসেনসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

এসিল্যান্ড সাথী দাস নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, গর্ভেশ্বরী নদীর খননকাজ শুরু হয় চলতি বছরের জানুযায়িতে। নদীর সাড়ে ১৮ কিলোমিটার খনন হবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, খনন শুরুর পর থেকেই বালু ও মাটি চুক্তিভিত্তিক টাকার বিনিময়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ৪ নম্বর শেখপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রফিক ও ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির হোসেনসহ কয়েকজন এ কাজে জড়িত। দিনদুয়েক আগে নদীর গাবুড়া এলাকায় নবনির্মিত ব্রিজের নিচ থেকে তারা বালু তুলতে শুরু করেন। তখন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে খবর যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়।

ওই এলাকার বাসিন্দা শাহীন ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই এসব বালু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেসব রাস্তা ট্রাক্টর চালানোর উপযোগী নয় সেসব রাস্তা দিয়ে সেগুলো চলছে। আমরা এর আগেও বাধা দিয়েছিলাম, কিন্তু কোন কাজ হয়নি।’

অভিযানে আটক হন সদরের শেখপুরা ইউনিয়নের ভাটপাড়া এলাকার ট্রাক্টরচালক জামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘এসব বালু নিয়ে যাওয়া হয় রফিক চেয়ারম্যানের কথায়। এক ট্রলির জন্য লেবারকে ৩০ টাকা দেয়া হয়।’

চিরিরবন্দর এলাকার ট্রাক্টরচালক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘পুকুর ভরাট, ঈদগাহ মাঠ ভরাটসহ বিভিন্ন কাজে নিয়ে যাই। প্রতি ট্রলির জন্য আমরা পাই ২৫০-৩০০ টাকা। ফরমান ভাই, বাবলা ভাই ও সাব্বির ভাই আমাদেরকে ট্রাক্টরে করে বালু নিয়ে যেতে বলেন। সারা দিনে একটি ট্রলি ১৬ থেকে ১৮ ট্রলি বালু নিয়ে যাই।’

এসিল্যান্ড সাথী দাস বলেন, ‘গর্ভেশ্বরী নদী খননের বালু কিছু স্বার্থলোভী নিজেদের স্বার্থে অবৈধভাবে ট্রাক্টর দিয়ে নিয়ে বিক্রি করছেন। এই বিষয়টি জানার পর আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে ৯টি ট্রাক্টর জব্দ করে নিয়ে এসেছি। এসব ট্রাক্টরের মালিকদেরকে খোঁজা হচ্ছে। কারা এসব বালু নিচ্ছেন তাদেরকেও খোঁজা হচ্ছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী আমরা সাজার ব্যবস্থা করব।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ৪ নম্বর শেখপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে কল করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা কী সবাই বলেছে? আচ্ছা ঠিক আছে আমি পরে কথা বলছি, এখন ব্যস্ত আছি।’ এ কথা বলে ফোন কেটে দেন তিনি। এর থেকে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিভাগের আরো খবর