পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পূবালী ব্যাংক আয় বাড়াতে পারলেও লভ্যাংশ বাড়ায়নি। আগের বছরের সমান সাড়ে ১২ শতাংশ পাবেন বিনিয়োগকারীরা।
এই লভ্যাংশের পুরোটাই নগদ, অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারপ্রতি এবার পাবেন ১ টাকা ২৫ পয়সা।
বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পূবালী ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ২৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৩ টাকা ৬০ পয়সা।
পূবালী ব্যাংকের আয়-ব্যয় ও লভ্যাংশের ঘোষণা
অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৬৩ পয়সা বা ১৭.৫০ শতাংশ। করোনার প্রথম বছরও কোম্পানিটির আয় ব্যাপকভাবে বেড়েছিল।
এখন পর্যন্ত ব্যাংক খাতের যেসব কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেগুলোর মধ্যে কেবল যমুনা ব্যাংকের আয় কমেছে। আর লোকসানি আইসিবি ইসলামিকের লোকসান বেড়েছে। বাকি সব কটি ব্যাংকেরই আয় বেড়েছে।
আয়ের মতোই লভ্যাংশও বেড়েছে বেশির ভাগ ব্যাংকের। কোনো কোনো ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে আগের বছরের মতোই সমান। তবে কমেছে দুটি ব্যাংকের।
অন্যদিকে যমুনা, ইউসিবি, আইএফআইসি ব্যাংকের লভ্যাংশ সমান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে যমুনার আয় কমেছে, বাকি দুটির বেড়েছে।
আয় বাড়লেও লভ্যাংশ কমিয়েছে ডাচ্-বাংলা ও ইস্টার্ন ব্যাংক।
আয়ের মতোই শেয়ারপ্রতি সম্পদও কিছুটা বেড়েছে পূবালী ব্যাংকের। গত ডিসেম্বর শেষে শেয়ারপ্রতি ব্যাংকটির সম্পদ ছিল ৩৮ টাকা ৬৯ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৩৮ টাকা ১৬ পয়সা।
যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ৮ মে শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেট।
এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম ডাকা হয়েছে আগামী ৩১ জুন।
লভ্যাংশ ঘোষণার দিন সিটি ব্যাংকের শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৯০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারদর ২২ টাকা থেকে ৩১ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করেছে।