পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিটি ব্যাংক আয় বাড়িয়ে লভ্যাংশও বাড়িয়েছে। আগের বছরের তুলনায় আড়াই শতাংশ বেশি পাবেন বিনিয়োগকারীরা। এই লভ্যাংশ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
কোম্পানিটি আগের বছর সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস মিলিয়ে সাড়ে ২২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ এবং সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস।
অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারপ্রতি এবার পাবেন ১ টাকা ২৫ পয়সা আর প্রতি ২০০ শেয়ারের বিপরীতে পাবেন ২৫টি শেয়ার।
বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ১৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৪ টাকা ৪৪ পয়সা।
অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৭১ পয়সা বা ১৫.৯৯ শতাংশ। করোনার প্রথম বছরও কোম্পানিটির আয় ব্যাপকভাবে বেড়েছিল।
এখন পর্যন্ত ব্যাংক খাতের যেসব কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেগুলোর মধ্যে কেবল যমুনা ব্যাংকের আয় কমেছে। আর লোকসানি আইসিবি ইসলামিকের লোকসান বেড়েছে। বাকি সব কটি ব্যাংকেরই আয় বেড়েছে।
সিটি ব্যাংকের লভ্যাংশসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি
এই লভ্যাংশ ২০১১ সালের পর সর্বোচ্চ। ২০১০ সালে ব্যাংকটি তার বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। পরের বছর তা কমিয়ে করা হয় ২৫ শতাংশ।
এরপর ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ২৪ শতাংশ করে লভ্যাংশ দেয়া হয়। এর মধ্যে ২০১৬ সালে পুরোটাই ছিল নগদ, পরের বছর ১৯ শতাংশ নগদ, বাকিটা বোনাস শেয়ার।
আয়ের মতোই লভ্যাংশও বেড়েছে বেশির ভাগ ব্যাংকের। কোনো কোনো ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে আগের বছরের মতোই সমান। তবে কমেছে দুটি ব্যাংকের।
আয়ের মতোই শেয়ারপ্রতি সম্পদও বেড়েছে সিটি ব্যাংকের। গত ডিসেম্বর শেষে শেয়ারপ্রতি ব্যাংকটির সম্পদ ছিল ৩০ টাকা ৬৮ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২৭ টাকা ৬৫ পয়সা।
যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ৫ মে শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেট।
এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম ডাকা হয়েছে আগামী ১২ জুন।
লভ্যাংশ ঘোষণার দিন সিটি ব্যাংকের শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ১০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারদর ২১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৩০ টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত ওঠানামা করেছে।