এক দিনে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ নয়, এখন থেকে শেয়ার দর মূল বাজারের মতোই সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারবে পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর জন্য চালু করা আলাদা বাজার এসএমই বোর্ডে। কমতেও থাকবে একই হারে।
এই বোর্ডে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনাবেচা সহজ করার পর শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে লাফানোর পর এই আদেশ জারি করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির।
বৃহস্পতিবার সংস্থাটির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
আগামী রোববার থেকেই এই পদ্ধতিতে শেয়ারদর উঠানামা করা যাবে বলে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই ও সিএসইকে জানানো হয়েছে।
এক দিনে কোনো শেয়ারের দর কতটা বাড়তে বা কমতে পারবে- এই সীমাকে সার্কিট ব্রেকার বলে। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এসএমই বোর্ড চালুর দিন থেকেই এই বোর্ডের কোম্পানির শেয়ারদর এক দিনে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বৃদ্ধি বা কমার সুযোগও রাখা হয়, যেখানে মূল বাজারে এক দিনে শেয়ারদর বৃদ্ধি বা হ্রাস হওয়া সম্ভব সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ।
এই বোর্ড চালু নিয়ে বিএসইসি বেশ আশাবাদী ছিল। তবে সেখানে শেয়ার কেনাবেচা করার সুযোগ ছিল সীমিত। প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল, যাদের বিনিয়োগ কমপক্ষে এক কোটি টাকা, তারাই সেখানে বিনিয়োগ করতে পারবে।
এতে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীর সংখ্যা খুবই কম, আর এই বোর্ডের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর সেভাবে বাড়ছে না।
এরপর যোগ্য বিনিয়োগকারী হওয়ার শর্ত শিথিল করা হয়। প্রথমে জানানো হয়, যাদের বিনিয়োগ ৫০ লাখ টাকা, তারাই সেখানে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন। এতেও যখন শেয়ারগুলো দর হারাতে থাকে, তখন তা ২০ লাখে নামিয়ে আনা হয়।
এরপর গত ২৮ মার্চ সিদ্ধান্ত হয়, যোগ্য বিনিয়াগকারী হতে কাউকে আবেদন করতে হবে না। যার বিনিয়োগ ২০ লাখ টাকা, তাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এই মার্কেটে শেয়ার কেনাবেচার জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসেবে নিবন্ধিত করে নেবে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।
এরপর সাত কর্মদিবসেই দুটি ছাড়া বাকি আটটি কোম্পানির দর বেড়ে যায় দ্বিগুণের বেশি। বাকি একটির দর অতটা না বাড়লেও এই সিদ্ধান্ত আসার আগে ১০ কর্মদিবসে বেড়ে হয়েছিল আগাড়াই গুণ। আর সিদ্ধান্ত আসার পর বেড়েছে আরও বেশি।
তবে নতুন করে সার্কিট ব্রেকার দেয়ার দিন লেনদেন হওয়া ৯টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে আটটির। বেড়েছে বাকি একটির দর।