বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বার্নিকাটের ওপর হামলা মামলায় আইনজীবী নিয়োগ দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

  •    
  • ৭ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:১১

২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে মোহাম্মদপুরে বার্নিকাটের গাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ওই রাতে মোহাম্মদপুরে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় যান যুক্তরাষ্ট্রের দূত। সেখানে নৈশভোজ শেষে ফেরার পথে মোটরসাইকেল আরোহীসহ একদল সশস্ত্র লোক রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার চেয়ে তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক পত্র পাঠায় দেশটি।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের বহরে হামলা মামলায় আদালতে আইনজীবী নিয়োগ দিতে চায় দেশটি। বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে দেখা করেছেন ঢাকায় দেশটির বর্তমান রাষ্ট্রদূত পিটার হ্যাস।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর দপ্তরে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তিনি। এ সময় বিষয়টি নিয়ে কথা হয়। পরে এ নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রী নিজেই।

বার্নিকাটের ওপর হামলা মামলার বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘তিনি (হ্যাস) উল্লেখ করেছেন, দূতাবাস হয়তো তাদের একজন আইনজীবী সেখানে নিয়োগ করতে পারেন। সেই রকম একটা পারমিশন হয়তো চাইবেন। আমি বলেছি, সেখানে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের করা একটি মামলা, যেটা আদালতে বিচারাধীন। সেই বিষয়ে বলেছি, আদালত স্বাধীন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। এ মামলায় প্রসিকিউশনের দায়িত্ব যাতে সঠিকভাবে পালন করে সেটা আমরা দেখব।’

২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে মোহাম্মদপুরে বার্নিকাটের গাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ওই রাতে মোহাম্মদপুরে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় যান যুক্তরাষ্ট্রের দূত। সেখানে নৈশভোজ শেষে ফেরার পথে মোটরসাইকেল আরোহীসহ একদল সশস্ত্র লোক রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার চেয়ে তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক পত্র পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র।

হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ সরকার বিষয়টিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে বিবৃতি দেয়। এতে তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। তবে সেই মামলার বিচার এখনও শেষ হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হয়ে বার্নিকাট ঢাকায় আসেন ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি। দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর তিনি ঢাকা ছেড়ে যান।

রাশেদ চৌধুরীকে দ্রুত ফেরানো উচিতআলোচনায় বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেয়ার প্রসঙ্গও তোলেন আইনমন্ত্রী। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামিকে বহু বছর ধরেই ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ দেশটির সঙ্গে আলোচনা করছে।

আইনমন্ত্রী জানান, পিটার হ্যাস নিজেও বলেছেন, এই বিষয়টির দ্রুত সমাধান দেখতে চান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে আমি ওনাকে পরিষ্কার বলেছি, আমার একটা দাবি আছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের হত্যাকারী এবং আদালতের সাজাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামি রাশেদ চৌধুরী সেখানে পালিয়ে আছে। তাকে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে। তিনি যেটা বলেছেন, সেটা হচ্ছে, এটা তো একটা বার্নিং ইস্যু, এই ইস্যুগুলো ত্বরিত ফয়সালা করা উচিত।’

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: নিউজবাংলা

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিষয়টিতে আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক ছায়া পড়ুক, সেটা তিনি চান না। সেটা নিয়ে কিছু মডালিটির আলাপ হয়েছে। যেগুলো আমি এখন বলব না। সেই মডালিটি অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাব, সেটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন আইএলওর সঙ্গে কিছু বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে দুই পক্ষে। সে ক্ষেত্রে কী অগ্রগতি হয়েছে সেটাও আলোচনা হয় এই বৈঠকে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গএই বিষয়টি নিয়েও দুই পক্ষে আলোচনা হয় বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ওনারা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে তা হলো, আমি ওনাকে বলেছি এই অ্যাক্ট করা হয়েছে সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য।

‘আমি ওনাকে এটা বলেছি, অনেক দেশের সংবিধানের তুলনায় আমাদের সংবিধান আলাদা। আমাদের সংবিধানে ফ্রিডম অফ প্রেসকে আলাদাভাবে গ্যারান্টি করা হয়েছে ফান্ডামেন্টাল রাইটসের মাধ্যমে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট কখনই বাকস্বাধীনতা বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি। এটা সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখেছি এর মধ্যে কিছু অপব্যবহার হয়েছে। এ বিষয়ে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে কী পদক্ষেপ নিয়েছি, সেটাও উল্লেখ করেছি।’

আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা যে জতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের অফিসের সঙ্গে বেস্ট প্র্যাকটিসের ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরামর্শক এসেছিলেন তার সঙ্গে যে আলাপ করেছি, সেগুলো উল্লেখ করেছি। এরপর মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমাকে বললেন, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে আমাদের সহায়তা করতে চায়। আমি বলেছি, এটা অবশ্যই বিবেচনাধীন থাকবে।’

বিচারক ও আইনজীবীদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারেও আলোচনা হয় দুই পক্ষে। মানব পাচার ও সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ দিতে যুক্তরাষ্ট্র রাজি হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনজীবীদের যদি এ ব্যাপারে প্রশিক্ষিত করা যায়, তাহলে সেটা ভালো হবে। তারা যে জজ ও আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এসেছেন, সেটাও আমি উল্লেখ করেছি। সেখানে যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হচ্ছে মানব পাচার ট্রাইব্যুনালের কাজে যুক্তরাষ্ট্র যে অত্যন্ত সন্তুষ্ট, সেটা তিনি বলেছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর