পানিদূষণের কারণে দেশে হঠাৎ ডায়রিয়ার বিস্তার ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০২২ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পানিদূষণে ডায়রিয়া-কলেরার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের কারণে অন্য রোগশোকও বাড়ছে। দেশে বায়ু, পানি ও শব্দদূষণের কারণে আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। অন্য জায়গায় কম থাকলেও ঢাকায় দূষণ সবচেয়ে বেশি। অতিরিক্ত নগরায়ণের কারণে গাছ কেটে আমরা পরিবেশের ক্ষতি করছি।’
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ২০ শতাংশ জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো। করোনা ব্যবস্থাপনাতে বাংলাদেশ রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে । এই করোনাকে আমরা শূন্যের কোটায় নামাতে চাই।’
‘দেশে টিকাদান কর্মসূচি অন্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো ছিল। যে কারণে বিশ্বের ২০০ দেশের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রদানে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাচিপের সভাপতি এম ইকবাল আর্সলান।
ছড়িয়েছে ডায়রিয়া
দেশে মার্চ থেকে পড়েছে তীব্র গরম। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে হঠাৎই বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। বড়দের পাশাপাশি এবার ডায়রিয়া ছড়িয়েছে শিশুদের মধ্যেও। ফলে চাপ বেড়েছে ঢাকা শিশু হাসপাতালে।
প্রথমে রাজধানীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআর,বি) রোগীর চাপ ছিল অত্যধিক।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, হঠাৎ করেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার রোগীরা হাসপাতালে ভিড় করছে। রোগী সামাল দিতে হাসপাতালে প্রস্তুতি বাড়ানো হয়েছে। বেশি রোগী হলে ডায়ারিয়া সেল বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ডায়রিয়া মূলত সংক্রামক রোগ। দূষিত পানি ও বাসিপচা খাবার খাওয়ার কারণে এটি হয়। বিশেষ করে ফুটপাতে বিক্রি হওয়া সহজলভ্য মুখরোচক খাবারে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। এই খাবার খেলে যে কেউ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।’