বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে গ্রেপ্তারের কারণ জানালেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘ইশরাক হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি বিধায়। ২০১৯ সালের একটি বিস্ফোরক মামলায় তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি আছে। অন্যান্য মামলাও তার বিরুদ্ধে আছে।
‘কালকে মিছিলের সঙ্গে তার গ্রেপ্তারের কোনো সম্পর্ক নাই। যারা জ্বালাও-পোড়াও করেছিল এবং মানুষ পুড়িয়ে মারার যারা হুকুমদাতা তাদেরও গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।’
বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি করাতে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে যে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে তা ঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকা সফরকালে সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেননি। মিডিয়ার সামনে কথা বলার সময় তিনি বলেছেন। আনুষ্ঠানিক আলোচনায় এটি নিয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি। এটি তার একান্ত ব্যক্তিগত মত।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না। আপনারা জানেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়ায়নি। ২০১৮ সালে বিএনপি ট্রেন উঠবে কি উঠবে না এই দ্বিধায় ছিল। পরে ট্রেনের পাদানিতে চড়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।’
‘গণতন্ত্রকে সংহত করতে নির্বাচন যথাসময়ে হবে। কারা আসবে এটা একান্ত তাদেরই ব্যাপার। বিএনপি তো নির্বাচনকে ভয় পায়। বিএনপি যেহতু বারবার যেকোনো বিষয় নিয়ে বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়, তার পরিপ্রেক্ষিতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেছেন। এটি তার একান্ত নিজস্ব বক্তব্য, সরকার বা দলের বক্তব্য নয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনভীতি পেয়ে বসেছে। শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, তারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও বর্জন করেছে। তাদের মধ্যে নির্বাচনভীতি পেয়ে বসেছে। এই ভীতি দূর করার দায়িত্ব তো আমাদের নয়। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, জনগণের রায়ে বিশ্বাস করে তাদের সামনে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। আমি আশা করব বিএনপি নির্বাচনভীতি কাটিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’