বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রপ্তানির আড়ালে অবৈধভাবে সাড়ে ৪ কোটি টাকা আয়ের চেষ্টা

  •    
  • ৭ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:০৪

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার আহসান উল্লাহ বলেন, পণ্যটি আমদানিকারক বুঝে পেলে রপ্তানি মূল্যের ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা হিসেবে রপ্তানিকারক আরও ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭২ টাকা পেত। তারা মূলত দেশে অবৈধ উপায়ে অর্থ আনতে মিথ্যা ঘোষণায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা আয়ের চেষ্টা করে।

রপ্তানির কাগজপত্রে ৮২ হাজার পিস গৃহস্থালির জুটপণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠানোর ঘোষণা দিলেও শুল্ক কর্মকর্তাদের কায়িক পরীক্ষায় দেখা মেলে মাত্র ২৯ হাজার ৯৩৬ পিস পণ্যের। ঘোষিত পণ্যের রপ্তানি মূল্য ৪ কোটি ৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৫৫ টাকা। মূলত অতিরিক্ত ঘোষণা দিয়ে ৩ কোটি ৮১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫৯ টাকা অবৈধভাবে দেশে আনা এবং রপ্তানি মূল্যের নগদ প্রণোদনা হিসেবে ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭২ টাকা আদায়ের চেষ্টা করে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি।

বৃহস্পতিবার সকালে বেসরকারি কনটেইনার ডিপো সিসিটিসিএলে শুল্ক কর্মকর্তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রপ্তানি চালানের কায়িক পরীক্ষায় এমন অনিয়ম খুঁজে পান। চালানটি রপ্তানি করছিল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সাগর জুট ডাইভারসিফাইড ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হিসেবে নিয়োজিত ছিল আজিজুল হক অ্যান্ড কোং।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার আহসান উল্লাহ।

তিনি বলেন, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সাগর জুট। চালানটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে রপ্তানির উদ্দেশ্যে সিসিটিসিএলের ডিপোতে কনটেইনারে পণ্য বোঝাই করা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দারা বিষয়টি জানতে পেরে চালানটির কায়িক পরীক্ষা করে।

এতে রপ্তানি চালানে ঘোষিত পণ্যের চেয়ে ৫২ হাজার ৬৪ পিস পণ্য কম পাওয়া যায়, যার রপ্তানি মূল্য ছিল ৩ কোটি ৮১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫৯ টাকা। পণ্যটি আমদানিকারক বুঝে পেলে রপ্তানি মূল্যের ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা হিসেবে রপ্তানিকারক আরও ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭২ টাকা পেত। তারা মূলত দেশে অবৈধ উপায়ে অর্থ আনতে মিথ্যা ঘোষণায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা আয়ের চেষ্টা করে।

তিনি আরও বলেন, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইন-১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে।

এ বিভাগের আরো খবর