নারায়ণগঞ্জে হত্যাসহ ১৫টি মামলার আসামি, রিয়াজ বাহিনীর হোতা রিয়াজুল ইসলাম ওরফে শ্যুটার রিয়াজকে চার সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বাহিনীর সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৩-এর অভিযানিক দল বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
রিয়াজ ছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন তার সহযোগী জাহিদুল ইসলাম ওরফে কালা ভাগিনা, মারুফ হোসেন মুন্না, মো. সেলিম ও মাহবুব মিয়া।
পাঁচজনের কাছ থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন, ১২টি গুলি, পাঁচটি দেশীয় অস্ত্র, একটি মোটরসাইকেল এবং ৬০০টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তার ভাষ্য, বিভিন্ন সময়ে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী, পেশাদার খুনি ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী শ্যুটার রিয়াজের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ ও তার আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হয়েছে। গত ২৯ মার্চ রূপগঞ্জ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধসহ ২১ জন আহত হন। ওই সময়ে এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
র্যাবের মুখপাত্র জানান, গত ১৫ মার্চ রূপগঞ্জ এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে শফিক ও শামীম মল্লিক নামে দুই ব্যক্তিকে তাদের বাসার সামনে অতর্কিতভাবে এলোপাতাড়ি গুলি করে প্রতিপক্ষের লোকজন। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রূপগঞ্জ এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে বিদ্যুতের বাড়িতে এসে তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করার ঘটনা ঘটে। সে গুলি পাশের বাড়ির একটি মেয়ের চোখে লেগে তার এক চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
পরবর্তী সময়ে সে ঘটনায় মামলা হলে বাদী ও সাক্ষীদের হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মারাত্মকভাবে জখম ও গুলি করে সন্ত্রাসীরা। গত বছরের ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত হয়।
র্যাবের মুখপাত্র জানান, উল্লিখিত ঘটনাগুলো পর্যালোচনায় দেখা যায়, এগুলো এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, অবৈধ জমি দখলকে কেন্দ্র করে রিয়াজ বাহিনীর প্রধান শ্যুটার রিয়াজের নেতৃত্বে হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং একপর্যায়ে সঙ্গীসহ তাকে গ্রেপ্তার করে।