জয়পুরহাটে চিকিৎসকের ভুয়া পরিচয় দিয়ে সেবা দেয়ার অভিযোগে মাসুদ করিম নামের এক ব্যক্তিকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ক্ষেতলাল উপজেলার আল-শেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বুধবার রাতে তাকে আটকের পর ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
একই অপরাধে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাবনার ভাঙ্গুড়া হেলথ কেয়ার ও ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে হবিগঞ্জ মুন জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল। সে সময় মুচলেকা দিয়ে তিনি ছাড়া পান।
৪৫ বছরের মাসুদ করিমের বাড়ি রংপুর সদরের রাধাবল্লব গ্রামে।
বৃহস্পতিবার সকালে নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন ইয়াজদানী।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, মাসুদ করিম নিজেকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে দিয়ে আল-শেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখে আসছিলেন। রোগীর ব্যবস্থাপত্রে এমবিবিএস (ঢাকা) ছাড়াও পিজিটি (মেডিসিন ও সার্জারি), ডিএমইউ (ঢাকা) ডিগ্রি ব্যবহার করতেন। চিকিৎসকদের সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সনদ নম্বরও উল্লেখ করেছেন।
পরে এক রোগী চিকিৎসা নিতে গিয়ে মাসুদ করিম এমবিবিএস চিকিৎসক নন বলে তার সন্দেহ হলে পরে স্থানীয় লোকজনের সামনে তিনি স্বীকার করেন তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সনদ নেই। ফাঁস হয় মাসুদ করিমের সব ডিগ্রিই ভুয়া। এ সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
ওসি জানান, পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসা সনদ না থাকার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। জানান, ডায়াবেটিস, মা ও শিশু, গাইনি, হাঁপানি, নাক-কান-গলা (অপারেশন ব্যতীত), বাত-ব্যথা, হার্ট, চর্ম ও যৌন রোগের রোগী দেখতেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইশতিয়াক আহাম্মেদ ভুয়া চিকিৎসক মাসুদ করিমকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ইউএনও ইশতিয়াক আহাম্মেদ বলেন, ‘ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার আইনে তাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি আর কোথাও রোগী দেখবেন বলে মুচলেকা দিয়েছেন।’