কক্সবাজার শহরের কলাতলীর একটি রেস্তোরাঁয় পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মোর্শেদুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
রেস্তোরাঁটিতে তার ২৬ হাজার টাকা বকেয়া বিল ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বুধবার বিকেলে পাওনা টাকা চাওয়ায় তিনি ও তার সমার্থকরা রেস্তোরাঁ মালিক ও তার ভাইকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন বলে জানা গেছে।
রেস্তোরাঁর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পৌর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদের নেতৃত্বে একদল যুবক বিকেল ৫টার দিকে শালিক রেস্তোরাঁয় ঢোকে। কোনো ধরনের কথাবার্তা ছাড়াই তারা মালিক নাছির উদ্দিনকে মারধর করে। ভাইকে ছাড়িয়ে নিতে চাইলে হেলাল উদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করে চলে যায় ওই যুবকরা।
নাছির উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মোর্শেদুর রহমান চৌধুরী বেশ কয়েক দিন ধরে দুটি বিল আটকে রাখেন। এগুলো তিনি তার নামে বকেয়া হিসেবে লিখতে বলেন।
‘প্রথম বিল সাড়ে ৬ হাজার টাকা ও দ্বিতীয় বিল ২০ হাজার ৭০০ টাকা। দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে খেয়ে তিনি এসব বিল করেন। বিলগুলো চাইলে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। এরপর দলবল নিয়ে এসে হামলা চালান, রেস্তোঁরায় ভাঙচুর করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পরপরই থানায় এজাহার দিয়েছি। সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে গেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা রুজুর আশ্বাস দেয়া হয়েছে।’
নাছিরের ভাই আহত হেলাল উদ্দিন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, ‘ভাইকে মারতে দেখে আমি দৌড়ে যাই। ভাইকে ছেড়ে দিতে বললে তারা আমাকেও মারধর করে। লোহার রড, লাঠিসহ ধারালো অস্ত্র ছিল তাদের হাতে।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মোর্শেদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আনোয়ার নামে এক কর্মীর ওপর হামলা চালানো হচ্ছে এমন খবরে আমরা রেস্তোরাঁয় যাই। তার কাছে আমার কোনো বিল বকেয়া ছিল না, আনোয়ারের ছিল।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ ঘটনার সিটিটিভ ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। যাচাই-বাছাই করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’