দাম্পত্য কলহে দুই বছর বয়সী শ্যালককে অপহরণের পর হত্যা করেছেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী মীর আবু বকর ফরিদ।
বুধবার সন্ধ্যায় যশোর থেকে ফরিদকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানিয়েছে এ তথ্য।
রাজধানীর মাতুয়াইল ফুড়িয়াবাড়ির বাসা থেকে সোমবার সন্ধ্যায় অপহরণ করা হয় ২ বছর বয়সী শিশু রিহানকে। যাত্রাবাড়ি থানায় এ বিষয়ে মামলা করেন রিহানের মা সাবানা বেগম।
আসামি ফরিদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে যাত্রাবাড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এরশাদ আলম বলেন, ‘রিহানকে অপহরণের পর ফোনে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন ফরিদ। স্ত্রীকে ঘটনা বিশ্বাস করাতে রিহানের কান্নাও শোনান।
‘সোমবার সন্ধ্যায় রিহানকে অপহরণের পর বাসে করে ঢাকা থেকে যশোর নিয়ে যান ফরিদ। পথেই ছোট এ শিশুর বুকে, পিঠে, কোমরে আঘাত করে নির্যাতন চালানো হয়। বিশেষ করে অন্ডকোষে জোরে চাপ দিয়ে ধরায় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তাকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিহান মারা যায়।’
অপহরণের মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে বলে জানান এসআই এরশাদ।
পুলিশ জানায়, আসামি ফরিদের বাড়ি যশোর সদরে। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রী ফরিদ থাকতেন মাতুয়াইলের জঙ্গলবাড়িতে। দাম্পত্য কলহে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে আসায় ক্ষিপ্ত হন ফরিদ। স্ত্রীকে শায়েস্তা করতেই শ্যালককে অপহরণ ও হত্যা করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন।
ফরিদকে যশোর থেকে ঢাকায় আনার পর বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান এরশাদ আলম।