বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১০০ ডলারের নিচে নামল তেলের ব্যারেল

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২২ ২৩:৩৮

ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) সদস্য দেশগুলো তাদের কৌশলগত মজুদ থেকে ১২ কোটি ব্যারেল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। আর এ ঘোষণাতেই তেলের দাম ফের ১০০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে ফের ১০০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে।

বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট অপরিশোধিত তেল সাড়ে ৩ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ৯৮ ডলার ৫৯ সেন্টে নেমে এসেছে। আর ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দর প্রায় একই পরিমাণ কমে ১০৩ ডলার ৩৩ সেন্টে বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত ১৫ মার্চ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে নতুন করে আলোচনায় বসার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার খবরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি প্রশমিত হয়েছে। দুই ধরনের তেলের দামই ১০০ ডলারের নিচে নেমে এসেছিল। ওই দিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেল প্রতি ব্যারেল ৯৫ ডলার ৩০ সেন্টে নেমে এসেছিল। আর ব্রেন্ট তেল ৯৯ ডলার ৫০ সেন্টে বিক্রি হয়।

কাজাখস্তানে প্রবল ঝড়ের কারণে বার্থ (জাহাজ ভেড়ানোর জায়গা) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রাশিয়ার তেল রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফের বেড়ে যায় তেলের দাম। ২৩ মার্চ ব্রেন্ট তেলের দাম ১২২ ডলারে উঠে যায়। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেলের দর বেড়ে ১১৫ উঠে।

অস্থির তেলের বাজারে আগুন নেভাতে ৩১ মার্চ বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র তার কৌশলগত পেট্রোলিয়াম ভান্ডার (রিজার্ভ) থেকে রেকর্ড ১৮ কোটি ব্যারেল তেল বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই কমতে থাকে দাম।

এরই মধ্যে বুধবার ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) সদস্য দেশগুলো তাদের কৌশলগত মজুদ থেকে ১২ কোটি ব্যারেল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। আর এ ঘোষণাতেই তেলের দাম ফের ১০০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল তেলের দাম; এক পর্যায়ে প্রতি ব্যারেল ১৩৯ ডলারে গিয়ে ঠেকেছিল। এরপর থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ ওঠানামার মধ্যেই আছে তেলের দর।

২০২০ সালের কোভিড মহামারির শুরুতে সারা বিশ্বে যখন লকডাউন চলছিল, তখন জ্বালানির তেলের দাম মাইনাস ৩৭ ডলারে নেমে এসেছিল। অর্থাৎ এক ব্যারেল তেল কিনলে ক্রেতাকে উল্টো ৩৭ ডলার দেওয়া হয়েছে। এরপর ওপেক ও রাশিয়া ধারাবাহিকভাবে তেল সরবরাহ কমিয়ে মূল্যবৃদ্ধি করে।

২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। করোনা মহামারির মধ্যেও টানা বেড়েছে তেলের দাম। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় তা আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়।

গত বছরের অক্টোবরের শেষ দিকে দুই ধরনের তেলের দামই ৮০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। সে সময় বাংলাদেশ সরকারও ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে এক লাফে ১৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ৮০ টাকা নির্ধারণ করে।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক বাজারে গড়ে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ছিল ৪২ ডলার। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ছিল ৪৯ ডলার। এর পর থেকে গড়ে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল ফেব্রুয়ারিতে ৫৩ ডলার, মার্চে ৬০, এপ্রিলে ৬৫, মে মাসে ৬৪, জুনে ৬৬, জুলাইয়ে ৭৩ এবং আগস্টে ৭৪ ডলার। অক্টোবরে এই দাম ৮৫ ডলারে ওঠে।

এরপর অবশ্য তেলের দাম খানিকটা কমে আসে। যুদ্ধের ডামাডোলে ফের তা বাড়তে থাকে। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার সঙ্গে সঙ্গে তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর