দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে পেশাজীবীদের ব্যানারে সমাবেশ করায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের কাছে দলের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক চিঠিতে বুধবার দলের পক্ষ থেকে এই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
এ বিষয়ে শওকত মাহমদু বলেন, ‘ব্যাখ্যা তলব করে আমাকে একটি চিঠি দিয়েছে বিএনপি। এ জন্য পাঁচদিন সময় বেঁধে দিয়েছে। আমি যেহেতু দল করি, তাই এই বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই চিঠির লিখিত জবাব দেব।’
গত ২৭ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ‘পেশাজীবী সমাজের’ ব্যানারে সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশে শওকত মাহমুদসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এই সমাবেশে লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীও ছিলেন।
এ নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ১ এপ্রিল বিএনপি সমর্থক সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের এক বৈঠকে শওকত মাহমুদকে বহিষ্কার করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সুপারিশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ করে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানানো হয়। পরের বছরের ১৩ ডিসেম্বর ‘সরকার পতন’ দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও জমায়েত হয়। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকায় ওই সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হয়েছিল।