মাদারীপুরে মাদ্রাসাছাত্রের যৌনাঙ্গ কর্তনের ঘটনায় ট্রান্সজেন্ডার জুঁই আক্তারকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সদর উপজেলার খোঁয়াজপুর এলাকা থেকে মঙ্গলবার জুঁইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হলে বিচারক ফয়সাল আল মামুন তাকে কারাগারে পাঠান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক রমেশ চন্দ্র দাস।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, এ ঘটনার ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা জুঁইসহ তিনজনের নামে সোমবার রাতে মানবদেহ বিকলাঙ্গ করার অভিযোগে মামলা করেন। এরপরই অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় জুঁইকে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুঁই জানিয়েছেন যে নিজেদের দলে ভেড়ানোর জন্য ১৭ বছরের ওই কিশোরের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেন তিনি ও তার সহযোগীরা।
যা ঘটেছিল
ওই কিশোর বলে, ‘আমি যৌন সমস্যায় ভুগছিলাম। বিষয়টি পরিচিতদের জানালে আমাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়। শহরের একটি দ্বিতল ভবনে নেয়া হয়। সেটি হাসপাতাল বা ক্লিনিক ছিল কি না তা নিশ্চিত হতে পারিনি। সেখানে চিকিৎসার নামে আমার যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে।’
কিশোরের যৌনাঙ্গ কাটার ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রান্সজেন্ডার জুঁই আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
তার অভিযোগ, এ কাজটি করেছেন ট্রান্সজেন্ডার জুঁই। তাকে সহযোগিতা করেছেন এলাকার ভ্যানচালক নুরু নপ্তী। নুরুর মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচয় হয় জুঁইয়ের।
কিশোরের নানি জানান, চিকিৎসার কথা বলে বৃহস্পতিবার জুঁই নুরুকে দিয়ে ছেলেটিকে খুলনা জেলার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অচেতন করে তার যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়। জ্ঞান ফেরার পর বাসায় যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করে ছেলেটি। পরদিন তাকে মাদারীপুর শহরের পানিছত্র এলাকায় ফেলে পালিয়ে যান নুরু।
ওই মাদ্রাসাছাত্র জানায়, সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভর্তি করা হয় সদর হাসপাতালে।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ‘পুরুষাঙ্গ সম্পূর্ণ কাটা ছিল। সেখানে সেলাই করে পাইপ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। এখন কিছুটা সুস্থ, তবে উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে। আপাতত আমাদের পর্যবেক্ষণে রাখা আছে।’