রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে দুই সাঁওতাল কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি। এ ছাড়া গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই মামলা নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ তুলে তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ।
বুধবার দুপুরে আদিবাসী পরিষদের পক্ষ থেকে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেনকে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়। স্মারকলিপিতে ওসির প্রত্যাহার ছাড়াও থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষের অভিযোগ গ্রহণে হয়রানি বন্ধ এবং তাদের ওপর বিভিন্ন সময় দেয়া মাদকের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপি দেয়ার সময় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, নগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গর্নেস মারান্ডি, জেলার সভাপতি বিমল চন্দ্র রাজোয়াড় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রত্যেক কৃষকের বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি নিশ্চিত করার দাবি জানায় বাংলাদেশ কৃষক সমিতি। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাগিব আহসান মুন্না, জেলার সাধারণ সম্পাদক আফতাব হোসেন কাজল, কেন্দ্রীয় সদস্য জহির রায়হান চন্দন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ গোদাগাড়ীর নিমঘুটু গ্রামের সাঁওতাল কৃষক ৩৭ বছরের অভিনাথ মারান্ডি ও তার চাচাতো ভাই ২৭ রবি মারান্ডি বিষপান করে মারা যান বলে দাবি করে তাদের পরিবার। তাদের অভিযোগ, বিএমডিএর ঈশ্বরীপুর-২ গভীর নলকূপের অপারেটর সাখাওয়াত ওই দুই কৃষকের জমিতে পানি দিচ্ছিলেন না। তাই তারা আত্মহত্যা করেন।
এ নিয়ে পরে পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করা হয়। গত শনিবার রাতে পুলিশ সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।