প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের আওতায় ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বমোট ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৪ জনকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৯৫৬ জনকে প্রথম ডোজ এবং ১১ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ তথ্য জানান। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পরপরই সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বহির্বিশ্ব থেকে তুলনামূলক কম মূল্যে গত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২০ ডোজ টিকা সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
‘করোনা সংক্রমণ রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা হিসেবে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের বিষয়টি সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ লক্ষ্যে করোনা টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি প্রাপ্তির আগে থেকেই আমরা টিকা সংগ্রহসহ টিকা প্রদানের বিষয়ে সব উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তার ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিনামূল্যে কোভিড টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়। অদ্যাবধি তা চলমান।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের আওতায় ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১২ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৯৫৬ জনকে প্রথম ডোজ ও ১১ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ সর্বমোট ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৪ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে।’
সরকারপ্রধান উল্লেখ করেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে টিকা উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে আলোচনা করে তুলনামূলক কম দামে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে টিকা কেনার ক্ষেত্রে নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট থাকায় টিকার মূল্য বা এ সংক্রান্ত ব্যয় প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।
ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ বাংলাদেশের সুপারিশ এবং করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির অনুমোদনক্রমে দেশব্যাপী ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর যাদের চার মাস অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে। ৪ এপ্রিল পর্যন্ত এক কোটি ৮১ হাজার ১৯৩ জনকে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে।