বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোটরসাইকেলে নয়, কনস্টেবল নাজমুলের স্ত্রী ছিলেন বাসায়

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:২০

মোবাইল ফোনের অবস্থানের ভিত্তিতে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, ঘটনার সময় নাজমুলের স্ত্রী তার সঙ্গে ছিলেন না। সে সময় স্ত্রীর অবস্থান ছিল বাসায়।   

তেজাগাঁও কলেজের মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দারকে হেনস্তার অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে কাজ করছে ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগ দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি। অন্যদিকে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেকের বিরুদ্ধে কলেজশিক্ষকের জিডির তদন্ত করবে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ।

নাজমুলের আচরণ নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শেষ হলেই জিডির তদন্ত শুরু হবে। অন্যদিকে মোবাইল ফোনের অবস্থানের ভিত্তিতে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, ঘটনার সময় নাজমুলের স্ত্রী তার সঙ্গে ছিলেন না। সে সময় স্ত্রীর অবস্থান ছিল বাসায়।

কপালে টিপ পরে হেঁটে যাওয়ার সময় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় লাঞ্ছিত ও হত্যাচেষ্টার মুখোমুখি হয়েছেন অভিযোগ করে শনিবার শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করেন কলেজশিক্ষক ড. লতা সমাদ্দার। তিনি রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক।

অভিযোগে লতা বলেন, টিপ পরায় এক পুলিশ সদস্য তাকে উত্ত্যক্ত করেন। প্রতিবাদ করলে তাকে মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টাও করেন সেই ব্যক্তি।

পুলিশ সদস্যের দেহের গড়ন বলতে পারলেও তখন তার নাম জানাতে পারেননি ওই শিক্ষক।

সোমবার সকালে কনস্টেবল নাজমুল তারেককে শনাক্ত করার কথা জানায় পুলিশ। সেদিন বিকেলেই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগ।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার সকালে জানান নাজমুলকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। পুলিশের এই কনস্টেবল ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগের হেফাজতে আছেন। বন্ধ রাখা হয়েছে তার মোবাইল ফোনটি। তদন্ত কর্মকর্তারা ওই শিক্ষকের সঙ্গে নাজমুলের বাগ্‌বিতণ্ডার বিষয়ে একটি পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন।

তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে, ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগের উপকমিশনার মোস্তাক আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের বিভাগীয় তদন্ত কমিটি নাজমুলের আচরণ নিয়ে কাজ করছে। আর ঘটনাস্থলে ঠিক কী হয়েছিল তা নিয়ে কাজ করছে শেরে বাংলা নগর থানা। ডিপার্টমেন্ট নাজমুলের অপরাধ পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবে। তদন্ত শেষ হলে বলা যাবে নাজমুলের অপরাধ কতটা ছিল।’

অন্যদিকে তদন্ত কমিটির কাজ শেষে নাজমুলকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে শেরে বাংলা নগর থানা। থানার এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন সিসিটিভি ফুটেজে কনস্টেবল নাজমুলকে শনাক্ত করা গেলেও ঘটনাস্থলের ফুটেজ থেকে ঘটনা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা মেলেনি। এ জন্য পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হতে নাজমুল ও শিক্ষক লতাকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নাজমুল এখন তার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের কাছে আছেন। তাদের তদন্ত শেষ হলে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। আমরা ভুক্তভোগীকেও ডাকব কথা বলার জন্য। প্রয়োজনে দুজনকে একসঙ্গে করে কথা বলব।’

ফেসবুকে কোনো কোনো পোস্টে ঘটনাস্থলকে শেরে বাংলা নগর থানার আওতার বাইরে দাবি করে ওই থানায় জিডি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে পুলিশের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন, ফার্মগেটের সেজান পয়েন্ট মার্কেটের অবস্থান শেরে বাংলা নগর থানার আওতার মধ্যে। রাস্তার অন্য প্রান্তটি পড়েছে তেজগাঁও থানার আওতায়। এ কারণে ড. লতা সমাদ্দার সংশ্লিষ্ট থানাতেই জিডি করেন।

ঘটনাস্থলে ছিলেন না নাজমুলের স্ত্রী

পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেক শনাক্ত হওয়ার পর ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হয়, ঘটনার সময় মোটসাইকেলের পেছনে তার গর্ভবতী স্ত্রী বসা ছিলেন। স্ত্রীর গায়ে ধাক্কা লাগার জেরে নাজমুল কলেজশিক্ষক ড. লতার সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান।

তবে মঙ্গলবার নিউজবাংলার অনুসন্ধানে জানা যায়, মোটরসাইকেলে নাজমুলের সঙ্গে তার স্ত্রী ছিলেন না। সে সময়ের কোনো সিসিটিভি ক্যামেরায় নাজমুলের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলে আর কোনো আরোহীকে দেখা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বুধবার জানান, সিসিটিভি ফুটেজের পাশাপাশি নাজমুলের স্ত্রীর ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করেও ঘটনাস্থলে তার উপস্থিত না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শনিবার সকালে ঘটনার সময় নাজমুলের স্ত্রীর ফোনের লোকেশন ছিল আগারগাঁও তালতলায় তাদের ভাড়া বাসার ঠিকানায়।

তদন্তসংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে সিসিটিভি ফুটেজে মোটরসাইকেল ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে সেখানে নাজমুলকে একাই দেখতে পেয়েছি। এরপরেও বিতর্ক এড়াতে নাজমুলের স্ত্রীর ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে দেখে তার বাসায় থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর