খুলনার ফুলতলায় কলেজ ছাত্র সৈয়দ আলিফ রোহানকে হত্যা মামলায় আরও দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ নিয়ে এ মামলায় গ্রেপ্তার হলো তিনজন।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকা আশুলিয়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে বিষয়টি জানাজানি হয়েছে বুধবার বিকেলে।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন মামলার ১ নম্বর আসামি তাছিন মোড়ল ও ২ নম্বর আসামি সাব্বির ফারাজী।
বৃহস্পতিবার উপজেলার ফুলতলা এম এম কলেজ প্রাঙ্গণে ২০ বছর বয়সী আলিফকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে তার মৃত্যু হয়। তিনি ওই কলেজের শিক্ষার্থী এবং পায়গ্রাম কসবা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে নিহতের বাবা সৈয়দ আবু তাহের বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ফুলতলা থানায় মামলা করেন। এর পর পরই ফুলতলার দামোদর এলাকা থেকে মামলার ৪ নম্বর আসামি দীপ্ত সাহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস তালুকদার বলেন, মামলাটি সোমবার রাতে সিআইডি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তারা মামলার ১ ও ২ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে গ্রেপ্তার করা হয় ৪ নম্বর আসামিকে। সিআইডি পুলিশই তাদেরকে আদালতে পাঠাবে।
ইভ টিজিংয়ে বাধা দেয়ায় খুন
আলিফ রোহানকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার চার নম্বর আসামি আদালতে স্বীকারোক্তির মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ওই জবানবন্দি বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কয়েক দিন আগে পায়গ্রাম কসবা এলাকার একটি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়। ওই অনুষ্ঠানে একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা হচ্ছিল। এতে বাধা দেন আলিফ।
এ ঘটনায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে আলিফকে ‘শিক্ষা’ দেয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে। ৩১ মার্চ আলিফ ফুলতলা এম এম কলেজে ক্লাস করতে গেছেন, খবর পেয়ে তারা মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে কলেজে এসে তাকে ছুরিকাঘাত করে।
ফুলতলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আলিফের শরীরে মোট তিনটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আলিফকে হত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল পাঁচজন।’