৫৬ লাখ মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করতে জাতীয় কর্মসংস্থান নীতি-২০২২ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
জাতীয় সংসদ ভবনে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আজকে বড় একটা বিষয় ছিল সেটা হলো জাতীয় কর্মসংস্থান নীতি-২০২২। এটা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। এটা ২০২২ হবে ২০২১ হিসেবে নিয়ে এসেছিল।
‘এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসছে ও আধুনিক বিশ্বের প্রযুক্তি পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে আমাদের উৎপাদন, প্রযুক্তি ও শ্রমিকদের দক্ষতা সেটার ব্যাপক পরিবর্তন করা দরকার। তার পরিপ্রেক্ষিতে এটা নিয়ে আসা হয়েছে। এটার মূল উদ্দেশ্য দেশের শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।’
তিনি বলেন, ‘এটা সম্ভবত বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে ছিল৷ তাছাড়া চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সামনে রেখে ১০টি প্রযুক্তি পরবর্তী বিশ্বে রুল তুলবে। সেক্ষেত্রে দেখা গেছে, আমাদের যারা আছে তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
‘বর্তমান যে শিক্ষা ব্যবস্থা বা দক্ষতা তা দিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে মোকাবিলা করা যাবে না। এজন্য জাতীয় কর্মসংস্থান নীতিতে এসব বিষয় সংযোজন করা হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের ৫৬ লাখ লোককে পুনরায় দক্ষ করে তুলতে হবে। আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে এটি করতে হবে। দ্রুত না করলে তো ম্যাচ করতে পারবে না।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তখন দেখা যাবে ওই প্রযুক্তিও অ্যাডভান্স হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। ২০৫০ সালের পরে পঞ্চম শিল্প বিপ্লব আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে থিম হবে পার্সোনালাইজেশন।
‘বিশেষ করে কম কর্মসংস্থান প্রত্যাশী মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, জনশক্তিকে কর্মশক্তি উপযোগী ও দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে বেকারত্বহীন দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমাজ প্রতিষ্ঠাই এই নীতির লক্ষ্য। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার উন্নত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে মর্যাদা লাভ এবং ২১০০ সালের মধ্যে নিরাপদ বদ্বীপ গঠনের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলোর জন্য এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন খুবই জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘সেজন্য দক্ষ শ্রমিক গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য এই নীতিটি প্রণয়ন করা হয়েছে।’