তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজির একটি বড় চালান বৃহস্পতিবার দেশে আসছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এই গ্যাস পৌঁছলে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে সরবরাহ ঘাটতির কারণে যে ভোগান্তি, তা দূর হবে বলে আশা করছেন তিনি।
বুধবার প্রতিমন্ত্রী নিজের ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানান।
তিনি লিখেছেন, ‘বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে আকস্মিক সমস্যা দেখা দেয়ায় প্রথম রমজান থেকে দেশের কিছু কিছু জায়গাতে গ্যাসের স্বল্প চাপের সৃষ্টি হয়েছিল। আমাদের অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিরলস পরিশ্রমে আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছি। বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড থেকে বর্তমানে ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। সংকট সমাধানে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এলএনজি কার্গোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
‘২৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি ভর্তি কার্গো আগামীকাল সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে।’
গত রোববার প্রথম রোজায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। দিনভর তীব্র ভোগান্তির পর সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিবিয়ানা ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলনে হঠাৎ করে সমস্যা তৈরি হওয়ায় তার প্রভাব পড়ে সারা দেশ, বিশেষত রাজধানীর গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থায়। শেভরন পরিচালিত এই গ্যাসক্ষেত্রে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা মেরামতের কাজ করে যাচ্ছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশের বড় গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মধ্যে বিবিয়ানা অন্যতম। সেই ক্ষেত্রের ছয়টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের জোগানের সংকট তৈরি হয়েছে। যার প্রভাব পড়ে রাজধানীতে।
কর্মকর্তারা জানান, বিবিয়ানার ছয়টি কূপ থেকে শনিবার রাতে গ্যাস উত্তোলনের সময় বালি উঠতে শুরু করে। এ কারণে গ্যাস উত্তোলন কাজ বন্ধ করে দিতে হয়। রাতে প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংকট দেখা দেয়।
তবে তৃতীয় রোজায় গ্যাস সংকটের কিছুটা সমাধান হয়। মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী নিজের ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে সমস্যা দেখা দেয়ায় জরুরি মেরামতের জন্য কোনো কোনো এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ সৃষ্টি হয়েছিল গত দুদিন। আমাদের প্রকৌশলীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে আমরা এ সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছি।
‘বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড থেকে দৈনিক ১২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। সমস্যা দেখা দেয়ায় যা ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুটের নিচে নেমে এসেছিল। বর্তমানে ১০১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। আজ সন্ধ্যা নাগাদ যা ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’