বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মা সেতু উদ্বোধন পেছাচ্ছে যে কারণে

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:৫৯

উনি (প্রধানমন্ত্রী) যে কথাটি বলেছেন তার একটি লজিক হলো, রিসেন্টলি কিছু মালামাল আসতে সমস্যা হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য। এই মালামালগুলো মার্চ মাসে আসার কথা ছিল। কিন্তু এখন কিছুটা আনসার্টেইনিটি চলে এসেছে। এ জন্য আমার মনে হয়, আমাদের একটি সেইফটি মেজার: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পদ্মা সেতুর কিছু মালামাল দেশে আসতে দেরি হচ্ছে। এ কারণে সেতু উদ্বোধন করতে বছরের শেষ পর্যন্ত লেগে যাবে বলে মনে করছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

এতদিন সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে জুনে সেতু চালুর কথা বলা হলেও বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদকে বলেছেন, বছরের শেষে সেতুটি চালুর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে।

এরপর সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সরকারপ্রধানের এই বক্তব্য নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের মুখে পড়েন।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে তো পদ্মা সেতু শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ২০২২-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমরা চেষ্টা করছি যে যদি সম্ভব হয়, দেখা যাক, আমি ওনার (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গেও কথা বলব যে উনি কী বলেন।’

পরে তিনি বলেন, ‘উনি (প্রধানমন্ত্রী) যে কথাটি বলেছেন তার একটি লজিক হলো, রিসেন্টলি কিছু মালামাল আসতে সমস্যা হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য। এই মালামালগুলো মার্চ মাসে আসার কথা ছিল। কিন্তু এখন কিছুটা আনসার্টেইনিটি চলে এসেছে।

‘এ জন্য আমার মনে হয়, আমাদের একটি সেইফটি মেজার…. আমাদের টাইম আছে ২০২২-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এসব মালামাল আসবে। কিছু কিছু মালামাল আছে যেগুলো একটা বা দুটো দেশই পৃথিবীতে বানায়। এখন এমনিতেও কোভিডের জন্য আসতে দেরি হচ্ছিল, এখন যুদ্ধের কারণে দেরি হচ্ছে।’

২০২০ সালের ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পদ্মা সেতুর সব কটি স্প্যান বসানো শেষ হয়। এরপর সেতুর ওপরে সড়ক, ডিভাইডার ও সেতুর দুই পাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী বসানো শুরু হয়।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে দেশের সবচেয়ে বড় সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়ে আসছিলেন। এতে ঈদুল আজহায় দক্ষিণের মানুষের বাড়ি ফেরার ক্ষেত্রে নদী পারাপারে ফেরির ভোগান্তি দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছিল।

তবে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জানিয়েছেন চলতি বছরের শেষে সেতু চালুর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা নাওডোবা প্রান্ত থেকে জেলা শহর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ২০২২-এর শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ দ্রুতগতিতে চলছে।’

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য অনেকটাই চমকে দেয়ার মতো। কেন কয়েক মাস বাড়তি সময় লাগবে- এমন প্রশ্ন উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে।

সেতুর কাজের অগ্রগতি কতটা, কী কী কাজ বাকি, সে বিষয়েও তথ্য জানান শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বর্তমানে সেতুতে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কার্পেটিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতুর মুভমেন্ট জয়েন্ট, ভায়াডাক্ট মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট অ্যালুমিনিয়াম রোলিং, গ্যাস পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ ও রেললাইনের কাজ চলমান।’

এ বিভাগের আরো খবর