বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিআইজি মিজানের আপিল শুনবে হাইকোর্ট, নথি তলব

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৩:৫৫

আদালতে ডিআইজি মিজানের পক্ষে ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক বলেন, ‘আপিল আবেদনটি আদালত শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ কোর্ট আপিল আবেদনটি শুনবেন। আর জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য আদালত বুধবার দিন ঠিক করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পরবর্তী এ দিন ঠিক করে দেন। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য মামলার যাবতীয় নথি তলব করেছে।’

ঘুষ লেনদেনের মামলায় তিন বছরের সাজা থেকে খালাস চেয়ে পুলিশের বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে জামিন চেয়ে করা আবেদনটি শুনানির জন্য আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করেছে আদালত। এজন্য মামলার নথি তলব করেছে হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।

আদালতে ডিআইজি মিজানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক ও পারভীন সুলতানা শাম্মী। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াস উদ্দিন আহম্মদ।

ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপিল আবেদনটি আদালত শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ কোর্ট আপিল আবেদনটি শুনবেন। আর জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য আদালত বুধবার দিন ঠিক করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পরবর্তী এ দিন ঠিক করে দেন। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য মামলার যাবতীয় নথি তলব করেছে।’

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলায় রায় দেয়।

রায়ে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেয় আদালত। এছাড়া বাছিরকে ৮০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়।

এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপরদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বাছিরের দুটি দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে তাকে পাঁচ বছর দণ্ড ভোগ করতে হবে৷

তবে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় উভয়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও একই ধরনের অভিযোগে দণ্ডিত হওয়ায় এ ধারায় কাউকেই সাজা দেয়া হয়নি।

পরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেন মিজান।

গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।

এরপর গত ৩ ফেব্রুয়ারি মিজানুর রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী শুনানি করেন। অপরদিকে বাছিরের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমানের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করে।

৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের একই কর্মকর্তা।

গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এরপর তিনি মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। গত বছর ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।

এ প্রতিবেদন প্রচার হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।

এরপর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে।

অপরদিকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার মিজানকে এ মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর