সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছিলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা; ওই মামলার কারণে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় এবার অভিযোগ গঠন (চার্জ) করেছে আদালত।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত নাজমুল হুদার অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয়। এর মাধ্যমে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
আদালত একই সঙ্গে আগামী ১৭ মে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেছে। শুনানিতে নাজমুল হুদা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী এম এ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার কিং বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বছরের ২৪ নভেম্বর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। অভিযোগ শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৯-এ বদলির আদেশ দেন তিনি।
গত অক্টোবরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহম্মেদ নাজমুল হুদাকে অভিযুক্ত করে এ মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-১-এ নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা শাহবাগ থানায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলা উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ চান এসকে সিনহা। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে আসে।
দেড় বছর তদন্ত করে এস কে সিনহার বিরুদ্ধে নাজমুল হুদার মামলাটি মিথ্যা অভিযোগে করা বলে প্রমাণিত হয়েছে দুদকে। পরে দুদকের পক্ষ থেকে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে উল্টো ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়।