চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬.৯ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আউটলুক প্রতিবেদন-২০২২ প্রকাশ উপলক্ষে বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর ইডমন গ্রিনটিং।
মূলত রপ্তানিতে তেজিভাব এবং বিনিয়োগের দিক থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন গ্রিনটিং।
এডিবি বলেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৭.১ শতাংশ।
এক প্রশ্নের জবাবে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা খুব ভালো। এ ছাড়া জিডিপির তুলনায় ঋণ অনুপাত সহনীয় অবস্থানে আছে। সুতরাং ভয়ের কোনো কারণ নেই। শ্রীলঙ্কার চেয়ে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ।’
বাংলাদেশকে দুটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে বলে মত দিয়েছে এডিবি। এগুলো হলো ঋণ ব্যবস্থাপনার নীতিকে আরও শক্তিশালী করা এবং অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ আরও বাড়ানো।
এডিবি বলেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও পরোক্ষভাবে হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য সীমিত, তবে এই যুদ্ধের কারণে ইউরোপের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর বাংলাদেশ হচ্ছে ইউরোপের বড় অংশীদার।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যাওয়ায় সারা বিশ্বে মূল্যস্ফীতির ওপর প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে এডিবি।
এ বিষয়ে এডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। এর ফলে আশা করছি মূল্যস্ফীতির চাপ কমে আসবে।’