স্থানীয়দের সুবিধার কথা ভেবে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে যে সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল তার দুই পাশে দীর্ঘদিনেও কোনো সংযোগ সড়ক হয়নি। তাই মই বেয়ে সেতু পার হতে হতো ১০টি গ্রামের মানুষের।
তবে বিষয়টি নিয়ে ‘মই বেয়ে উঠে সেতু পার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পরে টনক নড়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিভাগের।
সরেজমিন পরিদর্শন করে রোববার দুপুরে ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। যদি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজে দেরি করে তাহলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও জানান এলজিইডি বিভাগের কর্মকর্তারা।
এ ঘটনার পর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সোমবার বিকেল থেকেই সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করেছেন।
স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এলজিইডি বিভাগের অর্থায়নে উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা গ্রামের শংকর খালের উপর ১ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শরীফ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় দুই বছর আগে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করে।
সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সেতুতে উঠার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণে বাগধা ইউনিয়নের সোমাইপাড়, নাঘিরপাড়, খাজুরিয়া, চাঁদত্রিশিরা ও আস্কর গ্রামসহ ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ও শিক্ষার্থীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মই দিয়ে সেতু পার হতে হচ্ছে। অনেকে সেতুতে উঠতে গিয়ে কয়েকবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
বরিশাল এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন শরীফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘ঠিকাদারকে সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দ্রুত কাজ শেষ করতে না পারলে তার লাইসেন্স বাতিলের কথা বলা হয়েছে।’
ঠিকাদার ফয়েজ শরীফ বলেন, ‘সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেতুর এক পাশে একটি পুকুর থাকার কারণে এতোদিন সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করতে পারিনি। এখন দ্রুত সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করা হবে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, ‘সেতুটি সচল করতে ও দুই পাশের সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারকে একাধিকবার বলা হয়েছে। পরে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে বরিশাল এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন শরীফ সেতুর স্থান পরিদর্শন করে ঠিকাদারকে সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিলে এর কাজ শুরু হয়।’