বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুনামগঞ্জে এক দিনে গেল ৫ বাঁধ

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২২ ০১:০৮

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার থাল হাওরের ডুবাইল বরুণ কাইচ্ছা বাঁধ ভেঙে গেছে। এ ছাড়া সোনামড়ল হাওরের ৫৪ নম্বর প্রকল্পের বাঁধ ভেঙে ও পানি উপচে জয়শ্রী ইউনিয়নের কয়রানী হাওরে ঢুকছে।

পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ঢলের পানিতে শাল্লা ও ধর্মপাশা উপজেলার পাঁচ বাঁধ উপচে হাওরে পানি প্রবেশ করেছে। এতে শতাধিক হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব ও ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে চন্দ্রসোনার থাল হাওরের ৭৫ নম্বর প্রকল্পের ডুবাইল বরুণ কাইচ্ছা বাঁধ ভেঙে বোরো ফসল তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই বাঁধ ভেঙে যায়।

একই দিনে গুরমার হাওরের ১১৫ নম্বর প্রকল্পের অধীনে স্লুইস গেট দিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এ ছাড়া সোনামড়ল হাওরের ৫৪ নম্বর প্রকল্পের বাঁধ ভেঙে ও পানি উপচে জয়শ্রী ইউনিয়নের কয়রানী হাওরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

শাল্লায় উজানের পানির চাপে বাঁধ ভেঙে তছনছ। ছবি: নিউজবাংলা

গত সোমবার বিকেলে ধর্মপাশায় কংস নদের পানি শয়তানখালী খাল হয়ে রুইবিল, কাইল্যানী, বুন্না, নয়াবিল ও ডুলিজার হাওরের দিকে প্রবাহিত হতে থাকে। স্থানীয়রা ওই খালের নোয়াবন্দ-আবুয়ারচর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করে বাঁধ দিয়ে তা প্রতিরোধ করে। অন্যদিকে রাতেই সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামসংলগ্ন অরক্ষিত স্লুইস গেট দিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করতে থাকলে স্থানীয় লোকজন তা বন্ধ করে দেয়।

ধর্মপাশার ইউএনও মুনতাসির হাসান বলেন, ‘ওভার ফ্লো হয়ে বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করেছে।’

অন্যদিকে শাল্লা উপজেলার কৈয়ারবন ও পুটিয়া হাওরে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে। এই দুই হাওরে ৪০ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করে। বলে জানিয়েছেন ইউএনও।

ধর্মপাশায় বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। ছবি: নিউজবাংলা

ইউএনও আবু তালেব বলেন, ‘কৈয়ারবন ও পুটিয়া হাওরে প্রায় ৪০ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। তবে বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাবহির্ভূত। আমরা ফসলি জমি রক্ষার চেষ্টা করেছি। কিন্তু উজানের পাহাড়ি ঢল ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর বাঁধটি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর