বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাহজালালে গণশুনানি: বিমানের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

  •    
  • ৫ এপ্রিল, ২০২২ ২২:৩৭

সৌদি প্রবাসী রিয়াদ সরকার বলেন, ‘বিমানের কাউন্টারে গেলে কোনো সহযোগিতা মেলে না। আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৩টায় বিমানের ফ্লাইটে আমার সৌদি আরবে যাওয়ার কথা। কিন্তু ফ্লাইটটি ডিলে হচ্ছে কেন, কখন যাবে- এসব প্রশ্নের কোনো জবাব নেই। তারা যেন আমাদেরকে ভিক্ষুক মনে করে।’

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মান বাড়াতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) গণশুনানিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।

বিমানবন্দরের বহির্গমন কনকোর্স হলে মঙ্গলবার আয়োজিত এই গণশুনানিতে যাত্রীদের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। এ সময় বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান যাত্রী হয়রানি বন্ধে বিমানকে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন।

গণশুনানিতে সৌদি প্রবাসী রিয়াদ সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘বিমানের কাউন্টারে গেলে তারা কোনো সহযোগিতাই করেনি। আজ বিকেল ৩টায় বিমানের ফ্লাইটে আমার সৌদি আরবে যাওয়ার কথা। কিন্তু ফ্লাইটটি কখন যাবে, ডিলে হচ্ছে কী না এসব প্রশ্নের কোনো জবাব নেই। কিছুই জানাচ্ছে না কেউ। তারা যেন আমাদেরকে ভিক্ষুক মনে করে।’

আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সেবা আন্তর্জাতিক মানের নয় কেন?- এমন প্রশ্ন তোলেন বিমানের এই সৌদিগামী এই যাত্রী।

আরব আমিরাতের আবুধাবিগামী যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আবুধাবি থেকে আমি ৫০ হাজার টাকায় যাওয়া-আসার টিকিট কিনতে পেরেছি। কিন্তু আবুধাবিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যাতায়াতে বিমানের টিকিট কিনতে গেলে কেবল যাওয়ার জন্যই ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা গুনতে হয়।’

আরেক প্রবাসী গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিমানের ফ্লাইট সব সময় ডিলে হয়। কখনও ঠিক সময়ে ছাড়ে না। আবার সে সম্পর্কিত আপডেট তথ্যও সঠিক সময়ে জানা যায় না।’

অভিযোগগুলোর বিষয়ে এয়ারলাইনসকে জবাবদিহির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন বেবিচক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘দুঃখ লাগছে যে সকালে বিমানবন্দরে এসেও যাত্রীরা ফ্লাইট বিলম্বের বিষয়টি জানতে পারছে না। এটা বিমান ঠিক করেনি। এটার জন্য এয়ারলাইনসকে আমরা ধরব।

‘বিমানবন্দরে যাত্রীদের সেবা দিতে হেল্প ডেস্ক আছে, ম্যাজিস্ট্রেটরা আছেন। অভিযোগ এলে দোষীদের শাস্তি দেয়া হয়। বিমানবন্দরে প্রত্যেককেই জবাবদিহি করতে হয়। যারা সেবা দিতে ব্যর্থ হয় তাদের জরিমানা করা হয়। যাত্রীসেবা বাড়ানোর চেষ্টা আমরা করছি।’

গণশুনানিতে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমানের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। পরে বেবিচক চেয়ারম্যান প্রতিনিধিকে আসার নির্দেশ দিলে গণশুনানিতে অংশ নেন প্রতিষ্ঠানটির স্টেশন ম্যানেজার আরিফুজ্জামান খান। যাত্রীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।

মধ্যপ্রাচ্যগামী টিকিটের উচ্চ মূল্যের বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান বলেন, ‘টিকিটের দাম মূলত এয়ারলাইন্সের বিষয়। এয়ারলাইন্সের সঙ্গে বসে সরকারের পক্ষ থেকে টিকিটের দাম কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আসলে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যগামী যাত্রী বেশি। যাত্রী চাহিদার তুলনায় বিমানে উড়োজাহাজের সংখ্যা কম।

‘এ কারণে অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যেতে ভাড়া বেশি লাগছে। বিমান ইতোমধ্যে ভাড়া কমিয়েছে। একইসঙ্গে আসন সংখ্যাও বাড়িয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিমানের ফ্লাইট কেন বিলম্ব হয় তা আমরা বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইব। আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে ‌আমরা এর ব্যাখ্যা চাইব।’

এ বিভাগের আরো খবর