বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উন্নয়ন প্রকল্পে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ বাড়ানোর তাগিদ

  •    
  • ৫ এপ্রিল, ২০২২ ২১:৫৬

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘সরকারি প্রকল্পে জনগণকে তদারকির দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। জনগণের জন্য কাজ হয়, সেই কাজে যদিও তাদের অংশগ্রহণ থাকে সেটি আরও অনেক ভালো হওয়ার কথা। এজন্য প্রকল্প এলাকায়, প্রকল্পের মেয়াদ, বিভিন্ন কাজের পরিমাণ প্রদর্শন করা হয়। এতে মানুষ বুঝতে পারে সেখানে কী ধরনের কাজ হওয়ার কথা এবং কী ধরনের কাজ হচ্ছে।’

উন্নয়ন প্রকল্প যথাসময়ে ও যথাযথ মানে বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করার তাগিদ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। একই সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলীদেরকে আরও বেশি কাজে লাগানোর কথাও বলেন তিনি।

মঙ্গলবার পাবলিক-প্রাইভেট স্টেকহোল্ডারস কমিটির ১৫তম বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবতীসহ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি প্রকল্পে জনগণকে তদারকির দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। জনগণের জন্য কাজ হয়, সেই কাজে যদিও তাদের অংশগ্রহণ থাকে সেটি আরও অনেক ভালো হওয়ার কথা। এজন্য প্রকল্প এলাকায়, প্রকল্পের মেয়াদ, বিভিন্ন কাজের পরিমাণ প্রদর্শন করা হয়। এতে মানুষ বুঝতে পারে সেখানে কী ধরনের কাজ হওয়ার কথা এবং কী ধরনের কাজ হচ্ছে।

‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। এর একটি বড় উদাহরণ হচ্ছে ই-জিপি সিস্টেম।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এলজিইডিকে বলব, জেলা পর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলীদের আপনারা ব্যবহার করতে পারছেন না। তাদের যেভাবে কাজ করার কথা, তারা সেভাবে কাজ করতে পারছে না। তাদের আরও বেশি কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তাদের পুরো সক্ষমতা ঠিকমতো ব্যবহার করা যাচ্ছে না। নানা ক্ষেত্রে তাদের কাজকে সীমাবদ্ধ করে রাখা হচ্ছে।’

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সব ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করতে, স্বচ্ছ হতে ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে। সরকারের বাইরে থাকলে এটা বোঝা যায় না। প্রশাসনকে স্বচ্ছ করতে বহু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে।’

পরিকল্পনা সচিব বলেন, ‘বর্তমানে ছোট ছোট প্রকল্পে জনগণকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ভবিষ্যতে বড় প্রকল্পেও এরকম কার্যক্রম করা যেতে পারে। কিন্তু সেজন্য জনগণের পর্যাপ্ত জ্ঞানের প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপনে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক সোহেলুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ই-জিপির (ই-টেন্ডারিং) মতো ই-অডিটিং আসছে। এটি হলে অডিটররা ঘরে বসে অনলাইনেই অডিট করতে পারবেন। প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। সরকার ও ঠিকাদারের মাঝে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাজ তদারকির সুযোগ পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ফলে একদিকে যেমন অনিয়ম ও দুর্নীতি কমছে, অন্যদিকে টেকসই অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে।

‘করোনা মহামারির সময়ও সরকারি কেনাকাটা কার্যক্রম বন্ধ ছিল না। অনলাইনে এই প্রক্রিয়ায় দরপত্র কার্যক্রম করায় সময়, শ্রম, অর্থ সবকিছুই সাশ্রয় হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ইজিপিতে ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩০৫ কোটি টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছে। টেন্ডার দেয়া হয়েছে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬২ কোটি টাকার। এতে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। শত শত টন কাগজ ব্যবহার করতে হয়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর