রাজধানীর সবুজবাগ দক্ষিণগাঁওয়ের বটতলা এলাকায় গৃহবধূ তানিয়া আফরোজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার এসির মিস্ত্রি বাপ্পীর দুই সহযোগী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঢাকার পৃথক দুই মহানগর হাকিমের কাছে মঙ্গলবার তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এদিন রিমান্ড শেষে তাদের দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়। দুই আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সবুজবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ আমিনুল বাশার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দুই আসামির জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শুভ্রা চক্রবর্তী আসামি সুমন হোসেন হৃদয়ের এবং অপর মহানগর হাকিম তামান্না ফারাহ আসামি রুবেল ফকির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।
এর আগে সোমবার এই মামলার মূল আসামি বাপ্পী স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত ২৯ মার্চ আদালত আসামি বাপ্পীর এবং ৩০ মার্চ আসামি হৃদয় ও রুবেলের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেয় আদালত।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৬ মার্চ রাতে ওই নারীর বাসায় এসি মেরামত করতে যান টেকনিশিয়ান বাপ্পী। তিনি এসি ঠিক করতে এসে সুযোগমতো মালামাল লুট করতে গেলে তানিয়া বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তানিয়াকে হত্যা করেন বাপ্পী। হত্যার পর তিন-চার ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, নগদ প্রায় ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যান বাপ্পী।
ওই নারীর মরদেহের পাশে মুখে স্কচটেপ লাগানো অবস্থায় তার দুই শিশুসন্তান পড়ে ছিল। ওই দুই শিশুর একজনের বয়স তিন বছর ও অন্য শিশুটির বয়স মাত্র ১০ মাস।
স্বামী ময়নুল ইসলাম ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে টেকনোলজিস্ট পদে চাকরি করেন। ঘটনার পরদিন তিনি সবুজবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।