সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা তথ্য ছাড়া মহাসড়ক অথবা সড়কে চলাচল করা পণ্যবাহী গাড়ি না থামাতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে পথে পথে চাঁদাবাজি ও হয়রানি রোধে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এক সভায় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিশেষ এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এম খুরশীদ হোসেনের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় মেট্রোপলিটন কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা যুক্ত ছিলেন।
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনার জন্য মূলত ভার্চুয়ালি এই সভায় আয়োজন করা হয়। সেখানেই সড়ক, মহাসড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় অতিরিক্ত আইজি এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘রোজা এবং ঈদকে কেন্দ্র করে শপিংমল, মার্কেটের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার বা গুজব ছড়িয়ে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সে ব্যাপারেও তৎপর থাকতে হবে।
‘যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে হবে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা তথ্য ছাড়া মহাসড়ক অথবা সড়কে চলাচল করা পণ্যবাহী গাড়ি থামানো যাবে না। এ সময়ে পণ্য পরিবহনে হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশকে কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে।’
সভায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম আরও গতিশীল করার মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এআইজি (ক্রাইম ইস্ট) জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরে জানান, এ বছর জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে দস্যুতা, খুন, দাঙ্গা, অপহরণ ও চুরিসংক্রান্ত মামলা কমেছে। তবে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা কিছুটা বেড়েছে। যদিও গত বছরের তুলনায় একই সময়ে অপরাধ কম। সামগ্রিকভাবে ফেব্রুয়ারিতে আগের মাসের তুলনায় মামলার সংখ্যা কমেছে।