বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৪৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে সমুদ্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান

  •    
  • ৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:০২

‘বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (২য় পর্যায়)’ নামে এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪৪৪ কোটি টাকা। এর আওতায় ৪২২টি গবেষণাগার সরঞ্জাম কেনা হবে। কেনা হবে একটি স্যাম্পল কালেক্টিং বোট বা জাহাজ।

বাংলাদেশের এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের সমুদ্র এলাকা থাকলেও সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও গবেষণায় পিছিয়ে রয়েছে। এ জন্য কক্সবাজারে একটি পূর্ণাঙ্গ সমুদ্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করছে সরকার। একই সঙ্গে সমুদ্র সম্পদ বা ব্লু ইকোনমি গবেষণায় কেনা হবে বড় জাহাজ।

এ লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি বা একনেক।

শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন।

‘বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (২য় পর্যায়)’ নামে এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪৪৪ কোটি টাকা।

সভাশেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘দেশের সমুদ্র সম্পদ নিয়ে আরও গবেষণার জন্য এ ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে। এটা নিয়ে একনেকে বিশদ আলোচনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশাল সমুদ্রের তলদেশে আমাদের কী সম্পদ রয়েছে তা জানা যাবে।’

জিইডি সদস্য কাউসার আহমেদ বলেন, ‘নতুন প্রকল্পের আওতায় ৩২ মিটার লম্বা একটি জাহাজ কেনা হবে। এর সঙ্গে দুটি স্পিডবোটও থাকবে। যেগুলো উপকূল থেকে শুরু করে দূরবর্তী স্থান থেকেও নমুনা সংগ্রহ করবে। সমুদ্র সম্পর্কে বলতে গেলে আমাদের ডেটা একেবারেই নাই, খুবই খারাপ অবস্থায় আছি। তাই দেশে প্রথমবারের মতো ৫টি বয়া স্থাপন করা হবে। যেগুলো অটোমেটিক্যালি বিভিন্ন ডেটা সরবরাহ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গপোসাগরের পাঁচটি মৎস্য আহরণ কেন্দ্রে এসব বয়া বসানো হবে। এ ছাড়া নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যমান মূল ভবন তিন তলা থেকে ছয় তলা ভবন করা হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা সেখানে গবেষণারও সুযোগ পাবেন।’

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বিশাল এই সমুদ্র এলাকায় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের। ফলে খুলে যায় নীল বিপ্লবের অপার দুয়ার। দেশের সমুদ্র গবেষণায় পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতা সৃষ্টির মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমি উন্নয়নে সফলতা অর্জন নতুন প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

এর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের অনাবিষ্কৃত সম্পদ অন্বেষণে গবেষণা, সমুদ্রের পরিবেশ সংরক্ষণ, সমুদ্র গবেষণায় দক্ষ জনশক্তি তৈরি, জনগণের মধ্যে সুনীল অর্থনীতি সম্পর্কিত ধারণা এবং বৈজ্ঞানিক মনোভাব সঞ্চার হবে।

‘বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (২য় পর্যায়)’ নামে এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪৪৪ কোটি টাকা। এর আওতায় ৪২২টি গবেষণাগার সরঞ্জাম কেনা হবে। কেনা হবে একটি স্যাম্পল কালেক্টিং বোট বা জাহাজ। একটি ওশান অবজারভেশন সিস্টেম স্থাপন করা হবে, ৪ হাজার ৪২৪টি কম্পিউটার সফটওয়্যার, অফিস সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র কেনা এবং ২০০ মিটার পন্টুনসহ জেটি ও গ্যাংওয়ে নির্মাণ করা হবে। পুরো টাকা সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরের তলদেশে বিশাল খনিজ সম্পদ রয়েছে। কিন্তু সমুদ্র গবেষণা বা ব্লু-ইকোনমিবিষয়ক অনুসন্ধানের জন্য উপযোগী সমুদ্রযানও ছিল না বাংলাদেশের। ছোট বোটের মাধ্যমে সীমিত আকারে কার্যক্রম চালানো হতো। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

এসব বোট সমুদ্রের ১০-১২ কিলোমিটারের বেশি যায় না। ফলে বিশাল সমুদ্রে কী সম্পদ লুকিয়ে আছে তা সঠিকভাবে অনুসন্ধান করা যায় না। এ জন্য ছোট ছোট ডিঙি নৌকার বদলে বড় জাহাজ কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে করে সমুদ্রের ১০০ কিলোমিটার গভীরে যাওয়া যাবে।

এ ছাড়া ১০-১২ দিন সমুদ্রে অবস্থান করে স্যাম্পল সংগ্রহ করা যাবে এই জাহাজে।

এ বিভাগের আরো খবর