অটোভ্যান ছিনতাইয়ের জন্য কিশোর চালককে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।
বগুড়া র্যাব-১২-এর কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার সোহরাব হোসেন মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
এর আগে ১৬ বছরের ফাহারুল ইসলাম হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রথমে সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে মো. রিজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২২ বছরের রিজুর বাড়ি বগুড়ার সোনাতলার মাদারীপাড়া গ্রামে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরের দিকে একই গ্রামের আশাদুল ইসলাম ও গাবতলীর একবাড়িয়া গ্রামের শাবলু মিয়া সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা সোহরাব জানান, ফাহারুলের বাড়ি গাবতলী উপজেলার সোনারায়। সে দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। পড়াশোনার ফাঁকে অটোভ্যান চালিয়ে পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করত। রিজুর সঙ্গে ফাহারুলের আগে থেকে পরিচয় ছিল। সেই পরিচয় ধরে সাতদিন আগে রিজু অটোভ্যান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন।
৩০ মার্চ দুপচাঁচিয়া ঘুরতে যাওয়ার জন্য ফাহারুলের ভ্যান ভাড়া করেন রিজু। এ সময় তার সঙ্গে একজন ছিলেন। বিকেল পর্যন্ত তারা দুপচাচিঁয়ায় ঘোরেন। সন্ধ্যার দিকে তারা ফেরার সময় কাহালু উপজেলার নারহট্ট এলাকায় পেছন থেকে রিজু ফাহারুলকে ছুরিকাঘাত করেন। এরপর রাস্তার ধারে খালে মরদেহ ফেলে ভ্যান নিয়ে চলে যায়।
নারহট্ট ইউনিয়নের ভ্যাপড়া এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ ফাহারুলের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের পাঁজরে, কোমরের নিচে ছুরিকাঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল।
১ এপ্রিল ফাহারুলের বাবা লিটন মিয়া অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে কাহালু থানায় হত্যা মামলা করেন।
র্যাব কমান্ডার বলেন, ‘এই মামলার তদন্তের সময় আমরা ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার কিছু ফুটেজ পেয়েছিলাম। সেগুলোতে গাবতলীতে ফাহারুলের সঙ্গে রিজুকে দেখা যায়। পরে দুপচাচিঁয়াতেও তাদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। সেখান থেকেই রিজুকে সন্দেহ হয়।
‘রিজু নিজেই ছুরিকাঘাত করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। আশাদুলের সহযোগিতায় তিনি ফাহারুলের কেটে শাবলুর কাছে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। টাকা নিয়ে তিনি চট্টগ্রামে চলে যান। এ ঘটনায় রিজুর আরেকজন সঙ্গী ছিল। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে কাহালু থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান সোহরাব হোসেন।