চালক ও সহযোগীদের বেতন ভাতা বাড়ানোর দাবিতে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে ঢাকাগামী বাস চলাচল আংশিক বন্ধ রয়েছে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা।
তবে এনা ও আগমনীসহ চার প্রতিষ্ঠানের বাস চলাচল করছে। সকাল থেকে এই বাস বন্ধ থাকলেও শ্রমিক নেতা ও পরিবহন মালিক সমিতি ধর্মঘটের ব্যাপারটি অস্বীকার করেছে।
শ্রমিকদের এমন অঘোষিত ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা। স্ট্যান্ডে এসেও ঘুরে যেতে হয়েছে তাদের।
হানিফ পরিবহনের ঢাকাগামী যাত্রী শহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘আমি ঢাকা যাব বলে সকালে বাসা থেকে বাসস্ট্যান্ড আসি। কিন্তু এসে শুনি বাস যাবে না। রাস্তা তো কম না যে বিকল্পভাবে যাওয়া যাবে। এটা অন্যায়। আমাদের সঙ্গে প্রতারণা। আমাকে ঢাকা যেতেই হবে, কাল অফিস করতে হবে।’
আহসানুল আরেফিন নামে আরেক যাত্রীও জানান তার ভোগান্তির কথা।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো আন্দোলন ঘোষণা দিয়ে হয়। ঘোষণা ছাড়া এভাবে ধর্মঘট করলে আমরা তো বিপদে পড়ি।’
সরেজমিনে রংপুর ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকাগামী প্রায় সব বাস, কোচ স্ট্যান্ডেই রয়েছে। শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানান তারা।
জাহাঙ্গীর আলম নামে এক চালক বলেন, ‘এনা আর আগমনী তাদের ড্রাইভার ও হেল্পারদের অনেক বেতন দেন। কিন্তু অন্য কোম্পানির গাড়ির চালকদের সেই বেতন দেয়া হচ্ছে না। আমরা বেতন বৃদ্ধির জন্য এই আন্দোলন করছি।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় যাওয়া আসা মাত্র ৭০০ টাকা। এই টাকায় কী সংসার চলে? প্রতি বছর বলে বেতন বাড়াবে, নিয়োগপত্র দিবে, কিন্তু বেতনও বাড়ায় না, নিয়োগপত্রও দেয় না। সব কিছুর দাম বাড়ছে শুধু আমাদের বেতন বাড়েনি।’
প্রবির সাহা নামে আরেক চালক বলেন, ‘মূলত বেতন বৃদ্ধির জন্য আমরা ধর্মঘট ডেকেছি। তা ছাড়া রাস্তায় পুলিশ হয়রানি করে, মামলা দেয় এগুলোর বিরুদ্ধেও আমাদের আন্দোলন। যদি দাবি পূরণ না হয় তাহলে আমরা আমাদের ইউনিয়নকে জানাব। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।’
রংপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাক আব্দুল মজিদ জানান, আমার জানামতে কোনো ধর্মঘট নেই। সবাইকে গাড়ি চালাতে বলা হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আপনারা যা জানেন আমিও তা জানি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’