বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমার বাসার পানিতেও গন্ধ: ওয়াসার এমডি

  •    
  • ৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৩:৪১

ওয়াসার এমডি বলেন, ‘আমাদের ৫ থেকে ১০ শতাংশ জায়গায় মাঝেমধ্যে পাইপ ফাটা থাকে। যখনই অভিযোগ পাই সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা ঠিক করে দেই। তারপরও কিছু জায়গায় সমস্যা হয়। নয়া পল্টনে আমার নিজের বাসাতেই পানিতে গন্ধ আছে।’

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ওঠা নানা অভিযোগের মধ্যে এবার নিজের বাসার পানিতেই গন্ধ পাওয়ার কথা স্বীকার করলেন ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) আয়োজিত ‘নগরবাসীর চাহিদা-ঢাকা ওয়াসার সক্ষমতা’ শীর্ষক সংলাপে এক প্রশ্নে একথা বলেন তিনি।

ওয়াসার এমডি বলেন, ‘আমাদের ৫ থেকে ১০ শতাংশ জায়গায় মাঝেমধ্যে পাইপ ফাটা থাকে। যখনই অভিযোগ পাই সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা ঠিক করে দেই। তারপরও কিছু জায়গায় সমস্যা হয়। নয়া পল্টনে আমার নিজের বাসাতেই পানিতে গন্ধ আছে।’

এ সময় তিনি নগরবাসীকে পানি ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

ওয়াসার উৎপাদন সক্ষমতা প্রসঙ্গে তাকসিম এ খান বলেন, ‘ঢাকায় পানির মোট চাহিদা ২১০ কোটি থেকে ২৫০ কোটি লিটার পর্যন্ত হয়। আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭০ কোটি লিটার। তাই রমজানে কোথাও পানির সংকট হবে না।’

ডায়রিয়ায় প্রকোপে ওয়াসার দায় আছে কি না জানতে চাইলে ওয়াসা এমডি বলেন, ‘আইসিডিডিআরবি আমাদের ৯টা জায়গার লিস্ট দিয়েছে, যেসব এলাকায় ডায়রিয়া বেশি। ল্যাব টেস্ট করিয়ে সেগুলোতে কোনো ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়নি। তারপরও সাবধানতা হিসেবে সে জায়গাগুলোতে আমরা ক্লোরিন বাড়িয়ে দিয়েছি।’

বক্তব্যে তাকসিম ওয়াসার এমডি বলেন, ‘ঢাকা শহরের সেবা খাতগুলো সূচকের দিক থেকে নিচের দিকে থাকলেও পানি ব্যবস্থাপনায় ঢাকা ওয়াসা এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে ওপরের দিকে আছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বিক জিডিপির ৪৫ ভাগ ঢাকা থেকে আসে। ঢাকায় যদি পানি সংকট হয় তার প্রভাব সরাসরি জিডিপিতে পড়বে। এ কারণে ঢাকা ওয়াসা দেশের উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে গতানুগতিকতার বাইরে এসে কর্মসূচি গ্রহণ করছে এবং নগরবাসীকে সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে।’

ঢাকায় ক্রমাগত মানুষ বেড়ে যাওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ওয়াসার এমডি বলেন, ‘ঢাকায় কাগজে কলমে মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ। আমরা ২ কোটি মানুষের কথা মাথায় রেখে সেবা দেই। এখন আবার অনেকে বলছেন মানুষ হয়ে গেছে বর্তমানে ২ কোটি ৩০ লাখ। এতগুলো মানুষ হুট করে বেড়ে গেলে চাহিদা পূরণ করতে মাঝে মাঝে হিমশিম খেতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘কাউকে পানির আওতার বাইরে রেখে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই আমরা বস্তিবাসীদের পানির অধিকার নিশ্চিত করেছি।’

ডুরা সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহেদ শফিকের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসার কারিগরি পরিচালক শহীদ উদ্দিন, সচিব শারমিনসহ ডুরার নেতারা।

এ বিভাগের আরো খবর