বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক বছরে বিকাশের লোকসান ১২৩ কোটি টাকা

  •    
  • ৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৩:২৩

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিকাশের নিট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে নিট লোকসান ছিল ৬৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

এক বছরে মোবাইল আর্থিক সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের লোকসান আগের বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে ১২৩ কোটি টাকা।

মূলত পরিচালন এবং প্রশাসনিক ব্যয়, সার্বিক কাঠামোগত দুর্বলতা এবং ব্যবসায় দূরদর্শিতার অভাবই লোকসানের কারণ। বলা হচ্ছে, ধারাবাহিক এই পতনে বিকাশের মোবাইল আর্থিক সেবায় এক ধরনের নেতিবাচক অবস্থা তৈরি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিকাশ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বিকাশ কোনো ব্যাংক না এটি সেবা। লেনদেনের অর্থ তিন ভাগে বন্টন হয়। একভাগ পায় বিকাশ। অন্য দুই ভাগ নেয়, মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং অন্য ভাগ পায় ডিস্টিবিউটর।

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল লেনদেন যত বাড়বে তত লোকসান কমবে। ১ হাজার কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ করেছে বিকাশ। উন্নয়ন সেবা দিতেই বিকাশের এই প্রচেষ্টা। আর্থিক লেনদেনে দুর্নীতি যত কমে আসবে, ধীরে ধীরে বাড়বে লাভের পরিমাণ।’

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিকাশের নিট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে নিট লোকসান ছিল ৬৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

তবে লোকসান বাড়লেও বেড়েছে আয়। দেখা যায়, গত বছরে শেষ পর্যন্ত আয় হয় ৩ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা। ২০২০ সালে যা ছিল ২ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা।

সেবার বিপরীতে ২০২১ সালে বিকাশ ব্যয় করেছে ২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। ২০২০ সালে যা ছিল ১ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা।

২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির মোট মুনাফা হয়েছে ৬৬৩ কোটি, যা এর আগের বছর ছিল ৬৩০ কোটি টাকা। তবে, উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে ২০২১ সালে বিকাশের পরিচালন ও প্রশাসনিক খাতে ব্যয় হয়েছে ৫৮৫ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছর এ খাতে ব্যয় হয়েছিল ৪৮২ কোটি টাকা। অর্থাৎ পরিচালন ব্যয় বাড়ছে।

টানা তিন বছর লোকসান গুনছে বিকাশ। দেখা গেছে, ২০১৯ সালে লোকসানের পরিমাণ ছিল ৬২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ২০২০ সালের ৬৭ কোটি ৪৩ লাখ এবং ২০২১ সালে যা দ্বিগুণ বেড়ে হয় ১২৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নতুন নতুন সেবা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, এজেন্টদের প্রশিক্ষণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, কমিশন, বাণিজ্যিক ব্যয়, প্রযুক্তির আধুনিকায়নসহ কয়েকটি কারণে বাড়ছে ধারাবাহিক লোকসান।

২০১০ সালের ১ মার্চ যাত্রা শুরুর পর ২০১৮ সাল পর্যন্ত মুনাফায় ছিল বিকাশ। ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্র্যাক ব্যাংকের কাছে প্রতিষ্ঠানটির ইক্যুইটি ছিল ৫১ ভাগ। আর যুক্তরাষ্ট্রের মানি ইন মোশন এলএলসির কাছে রয়েছে ১৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে শেয়ার কেনে এই সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান।

এ বিভাগের আরো খবর